Friday 16 December 2016

অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ/সাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় অবস্থান নেয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Techniques শেয়ার করব।



 
আসসালামু আলাইকুম বন্ধু গণ আশা করি আপনারা আল্লাহ্‌র রহমতে ভালই আছেন।
 
আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি টিউন নিয়ে।আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে   
 
কোন ভুল হলে ছোট ভাই হিসাবে ক্ষমা করবেন এডমিন ভাইয়া। আমার টিউন শুরু করছি
 
যখন কোন ব্লগ/ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় তখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসরণ করার প্রয়োজন পড়ে।
 
একটি হচ্ছে অন-পেজ অপটিমাইজেশন এবং অপরটি হচ্ছে অফ-পেজ অপটিমাইজেশন।
 
আজ আমরা অন-পেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় অবস্থান নেয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Techniques শেয়ার করব।
 
সার্চ রেজাল্টের ১ম পেজে আসার জন্য On Page SEO Techniques
 
আমরা সবাই নিশ্চয় জানি যে, On Page Optimization হচ্ছে ব্লগের অভ্যন্তরিন সকল বিষয়গুলি যথাযথভাবে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে নেয়া।
 
ব্লগের টাইটেল ট্যাগ, ম্যাটা ট্যাগ, কীওয়ার্ড, ভালমানের কনটেন্ট ইত্যাদি শেয়ার করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে অবস্থান নেয়ার একটি প্রক্রিয়া।
 
যখন এ কাজগুলি সঠিকভাবে করতে পারবেন তখন আপনার ব্লগের/ওয়েবসাইটের On Page Optimization পরিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করতে পারবেন।

কেন On Page Optimization করবেন?

আমি আগেও বলেছি On Page Optimization হচ্ছে ব্লগের অভ্যন্তরিন টাইটেল ট্যাগ, ম্যাটা ট্যাগ, কীওয়ার্ড, ভালমানের কনটেন্ট ইত্যাদি সঠিকভাবে সেট করে নেয়ার একটি প্রক্রিয়া।
 
মূলত সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়ার। এটি মানুষের মত ব্রেইন খাঠিয়ে কিছু বুঝতে পারে না। তাকে কমান্ড দেয়ার মাধ্যমে যা বুঝানো হয়, সে তাই বুঝে।
 
এ ক্ষেত্রে তাকে যদি তার সঠিক নিয়মানুসারে কমান্ড দিতে না পারেন, তাহলে সে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটটিকে না বুঝার কারনে Ignore করবে।
 
সেই জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ব্লগের সকল বিষয়গুলির গুরুত্ব যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেয়ার সঠিক নিয়মে On Page Optimization করতে হবে।
 
আপনি যদি ব্লগের সকল On Page Optimization বিষয়গুলি যথাযথভাবে করতে পারেন, কেবল তবেই আপনার ব্লগের টিউনগুলি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় পাওয়ার আশা করতে পারেন।
 
নিচে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ On Page Optimization এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

১. ভালমানের কনটেন্টঃ

একটি ব্লগের Brilliant Content সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) ছাড়াই সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে অবস্থান নিতে সক্ষম।
 
আর ভালমানের কনটেন্টের পাশাপাশি যদি কেউ Proper SEO করতে পারেন, তাহলেত ব্লগের ট্রাফিক নিয়ে আর কোন চিন্তাই থাকে না।
 
এ জন্য সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় একটা প্রবাদ আছে ''A Brilliant Content is King for all SEO". আপনি যদি সবসময় ব্লগে ভালমানের এমন কোন Unique Content শেয়ার করতে পারেন,
 
যেটি নিয়ে ইন্টারনেটে এ যাবত লেখা হয়নি বা খুব কম শেয়ার করা হয়েছে, তাহলে এই বিষয়ে SEO না করলেও আপনার বিষয়টি সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে থাকবে।
 
তবে যেহেতু এটা আদৌ সম্ভব নয়, সেহেতু আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সবার চাইতে ভালমানের কনটেন্ট পাবলিশ করার পাশাপাশি যথা নিয়মে SEO অনুসরণ করা।

২. ব্লগের টিউন টাইটেলঃ

সার্চ ইঞ্জিন হতে একটি ব্লগে যত ভিজিটর আসে তার প্রায় ৮০% নির্ভর করে Post Title এর উপর। কারণ Title হচ্ছে টিউনের বিষয় বস্তুর সারসংক্ষেপ।
 
কনটেন্ট নিংসন্দেহে SEO এর রাজা কিন্তু টাইটেলকে অনুসরণ করেই টিউনের কনটেন্ট হয়ে থাকে। একজন লেখক যদি টিউনের বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে আকর্ষণীয় টিউন টাইটেল লিখতে পারেন,
 
তাহলে আমি মনেকরি ব্লগ টিউনের অভ্যন্তরিন বাকী SEO গুলি খুবই সহজে মেনটেইন করতে পারবেন।
 
একটি সুন্দর ও অপটিমাইজ করা ব্লগ টিউন টাইটেল যে কোন সার্চ ইঞ্জিন রোবটের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম।
 
আপনি কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন Friendly ব্লগ Post Title লিখবেন এ নিয়ে ইতিপূর্বে বিস্তারিত টিউন শেয়ার করেছি।

৩. টিউনের Meta Description:

বর্তমানে যত ধরনের Meta Tag রয়েছে তাদের মধ্যে Meta Description টা হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্লগের টিউন টাইটেলের পরেই সার্চ ইঞ্জিন Meta Description কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
 
কেউ যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন বিষয়ে খোঁজে, তখন সার্চ ইঞ্জিন প্রথমে Post এর টাইটেল দেখার পাশাপাশি Meta Description দেখে থাকে।
 
এ ক্ষেত্রে সার্চকারীর ঐ কীওয়ার্ডটি যদি টাইটেল কিংবা Meta Description এর মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে খুব সহজে আপনার ব্লগের টিউনগুলি সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।
 
এ ক্ষেত্রে টিউনের Meta Description টা অবশ্যই আপনার টিউনের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ডের সমন্বয়ে হতে হবে।
 
আমি অনেক ভালমানের ব্লগ দেখেছি যারা ব্লগের Meta Description ট্যাগটাকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে টিউনের টাইটেলটি কপি করে Meta Description হিসেবে সেট করে রেখেছেন।
 
এ ক্ষেত্রে আপনার ঐ Meta Description টি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে কোন গুরুত্ব বহন করতে পারে না।

৪. টিউনের Permalink Structure:

একটি টিউনের সুগঠিত Url দেখতে যেমন মনে হবে, তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অনেক গুরুত্ব বহন করতে পারবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে টিউন করছেন সে বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিউনের Permalink গঠন করতে হবে।
 
কারন টিউনের Permalink টি যদি টিউনের গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে করেন, তাহলে সার্চ ক্যোয়ারী থেকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে আসার অধীক সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।
 
 অনেকে এ বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে কোন রকম একটি Url লিখে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ-আপনি এন্ড্রয়েড নিয়ে একটি টিউন করছেন।
 
আপনার টিউনের Url টি যদি http://www.ithomesbd.tk/2015/05/post7.html দিয়ে রাখেন,
 
তাহলে সার্চ ইঞ্জিন টিউনের Url থেকে টিউনের বিষয় সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারবে না।
 
অপর দিকে Url টির গঠন যদি http://www.ithomesbd.tk/2015/05/poweramp-android-apk.html হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারবে টিউনটি Poweramp Android Apk নিয়ে লিখা।

৫. টিউনের Heading Tags:

সাধারণত ব্লগের বিভন্ন গুরুত্বপূর্ণ Heading Tags গুলি H1, H2, H3 এবং H4 আকারে লিখা হয়ে থাকে।
 
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে এই ধরনের Heading Tags গুলি অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। আপনি যখন কোন একটি টিউন লিখবেন,
 
তখন টিউনের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ Heading Tag টা থাকবে H1 আকারে।
 
কারণ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে যে কোন ব্লগের H1 ট্যাগটা অন্যান্য Heading Tag এর চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
 
তারপর বাকী Headings গুলি H2, H3 এবং H4 হয়ে ক্রমান্বয়ে ব্যবহার হতে থাকবে।
 
এ নিয়ে আমরা ইতিপূর্বে Multiple Posts Titles এবং Multiple Header Title Tag নামে দুটি টিউন শেয়ার করেছি।

৬. Content Interlinking:

আপনি যখন কোন একটি বিষয়ে নুতন টিউন লিখবেন তখন টিউনটির সাথে সম্পৃক্ত অন্য দু-একটি টিউন Anchor Text হিসেবে বিভিন্ন কীওয়ার্ডের সাথে লিংক করে দিতে পারেন।
 
এ বিষয়টি যদিও আপনাকে সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে না কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন বা অন্য কোথা হতে আগত ভিজিটরদের ব্লগের অন্য টিউনগুলিতে ভিজিট করানোর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করিয়ে Page View বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
 
তাছাড়া এটি আপনার ব্লগের Internal Backlink বাড়ীয়ে নিবে। তবে নতুন টিউনটির সাথে মিল নেই এমন কোন টিউন লিংক করা থেকে বিরত থাকবেন।
 
যদি অযথা যে কোন কীওয়ার্ডের সাথে লিংক করেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বট আপনার লিংকগুলিকে Spam হিসেবে ধরে নিতে পারে।
 
সেই জন্য যখন কোন Internal লিংক তৈরি করবেন, সেটি যেন নতুন টিউন এবং কীওয়ার্ডের সাথে মিল থাকে।

৭. অন্য ব্লগের সাথে Linking করাঃ

আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে মিল রয়েছে এমন ভালমানের Nofollow ও Dofollow ব্লগের সাথে টিউমেন্টের মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন ফোরামে জয়েন করার মাধ্যমে External Backlink তৈরি করে নিতে পারেন।
 
এটি আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন হতে সরাসরি ভিজিটর এনে না দিলেও ঐ ব্লগের মাধ্যমে আপনার ব্লগে কিছু ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে।
 
এ বিষয়টি আপনার ব্লগের র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
 
তাছাড়া আপনি যদি এভাবে বিভিন্ন ভালমানের Dofollow ব্লগের সাথে লিংক তৈরি করতে পারেন,
 
তাহলে আপনার ব্লগের Backlinks বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর আপনি নিশ্চয় জানেন যে, ব্লগের র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে Dofollow Backlinks গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

৮. টিউনের Image Optimization:

Image হচ্ছে ব্লগ টিউনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ব্লগ টিউনে Image ব্যবহার করে যে কোন বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের সুস্পষ্ট ধারনা দেয়া যায়।
 
এমন কিছু টিউন থাকে যে গুলিতে Image ব্যবহার না করলে পাঠকদের পরিষ্কার ধারনা দেয়া সম্ভবই হয় না। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিনও আপনার ব্লগে সকল Image গুলিকে আলাদাভাবে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসে।
 
সাধারণত আপনি দেখে থাকেন যে, Google Search এর সার্চ রেজাল্টে Image নামে একটি ট্যাব থাকে। ওখানে ক্লিক করে কাঙ্খিত বিষয়ের অনেক Image পাওয়া যায়।
 
আপনি যদি ব্লগের Image গুলি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলী করে লিখেন তাহলে ঐ Image থেকে অনেক ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়।
 
ব্লগের Image এ বিভিন্ন ধররেন Alt Tag ও Caption এর মাধ্যমে Optimize করা যায়। কিভাবে টিউনের Image Optimize করতে হয় এ নিয়ে আমরা একটি বিস্তারিত টিউন শেয়ার করেছি।

৯. Keyword Density বা ঘনত্বঃ

কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল কত বার একটি ওয়ার্ড আপনার ব্লগের কোন একটি টিউনে আছে।
 
মনে করু
ন আপনার একটি ওয়েবসাইটের কোন পেইজে ১০০ শব্দ আছে, আর সেই ১০০ শব্দের মধ্যে যদি ৫ বার কীওয়ার্ড পাওয়া যায়, তাহলে বলা যাবে ৫ টাইমস কীওয়ার্ড ব্যবহার হয়েছে এবং সেখানে কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল ৫%।
 
একটি  পেইজের কীওয়ার্ড ডেনসিটি কত হওয়া উচিত সেটা সঠিকভাবে বলা একটু কঠিন কাজ। তবে আমি মনে করি একটি ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড ডেনসিটি সাধারণত ৫-৭% এর মধ্যে থাকা উচিত।
 
মনে রাখবেন কীওয়ার্ড ডেনসিটি খুব বেশি রাখা যেমন ভাল নয় তেমনি খুব কম রাখাও ভাল নয়।
 

1 comment: