Tuesday 28 August 2018

ফেসবুকের-এ স্টাইল করে লেখায় টিউন করার টিউটরিয়াল



ফেসবুকের ভিবিন্ন স্টাইলিশ ফন্ট ব্যবহার করে ভিবিন্ন স্টাইলের লেখা লেখা যায়। যা পোস্টকে আকর্ষনীয় করে তুলে। অনেককেই দেখা যায় টিউনে কাটা ড্রপ স্টাইলে লেখা। এইসব লেখা টিউন করে কিভাবে মনে প্রশ্ন আসে। তাই এখন আপনি ও পারবেন এইভাবে স্টাইলিশ ভাবে লিখতে।
যোগ্যতাঃ কপি পেস্ট করতে পারা।
বিঃদ্রঃ ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া কাজ হবে না।
ধাপ-১ঃ
নিচের লিংকে প্রথমে প্রবেশ করুন যে কোন ভাল ব্রাউজার দিয়ে।
কোড লিংকঃ অথবা লিংক কপি করে ব্যবহার করতে পারেন।
https://github.com/asifulmamun/share-code/blob/master/fb-font-style_for-copy-paste-stylish-font-in-fb-post.html
ধরি এইবার আপনি গিটহাব থেকে কোড গুলো কপি করে ফেলেছেন মানে পুরো html ফাইলের কোড। আর যারা গিটহাব থেকে ডাউনলোড করতে পারেন তারা ডাউনলোড বা ক্লোন করে সেটাকে নিজের ডেস্কটপ বা ফোনে রান করুতে পারেন।
(তাদের জন্য এইটুকুই যথেষ্ট যারা ডাউনলোড করে রান করতে পারেন। ফোনের জন্য html Viewer বা কোন ভাল ব্রাউজার হলেই চলবে (UC Browser ভাল কাজ কর UC Mini নয় কিন্তু)। আর ডেস্কপ বা ল্যাপটপের জন্য ব্রাউজার লাগবেই। )
তারা দয়া করে নিচে না তাকিয়ে সোজা ধাপ-৩ এ চলে যান।
code
যারা কোড কপি করেছেন তারা (উপরের স্ক্রিনশট এর কোড গুলো) পরের ধাপ এ চলে যান।
ধাপ-২ঃ
আপনার ডেস্কটপ বা ফাইলের ভেতর গিয়ে মাউসের বাম বোতাম ক্লিক করে নিচের ছবির মতো করে টেক্সট ফাইলে তৈরী করুন। টেক্সট ফাইলটি তৈরী করার পর সেটা ওপেন করুন। তারপর সেই ফাকা ফাইলে আপনার কোডগুলি পেস্ট (ctrl+v) করে দিন। (আশা করি কপি পেস্ট সম্পর্কে ধারনা আছে)। পেস্ট করে সেইভ করে নিন। (ctrl+s)।
এইবার সেই টেক্সট ফাইল ক্লোজ করে বের হয়ে আসুন আর নতুন টেক্সট ফাইলটি যেটা এখন তৈরী করলেন সেই টেক্সট ফাইলের নামের শেষে.txt কেটে.html লিখুন (Rename) যেমন new txt document.txt থেকে inde.html
কিভাবে লিখবেন?
প্রথমে যে ফাইলটি ফাইলটিকে মাউসের ডান বোতাম সিলেক্ট করে তারপর সেই ফাইলের উপর মাউস রেখে সিলেক্ট করা অবস্থায় (যদি দেখেন ফাইলটি নীল হয়ে আছে তাহলে ভাববেন সিলেক্ট হয়েছে নতুবা সিলেক্ট হয়নি) আবার মাউসের বাম বোতাম ক্লিক করে অপশন থেকে রিনেম সিলেক্ট করে করে সেটাকে text ফাইল থেকে html ফাইলে কনভার্ট করে ফেলুন।
text_file.png
index.jpg
করার পর উপরে মত আসবে। আগে এইচটিএমেল ফাইল রান করে থাকলে ফাইলের আইকন চেইঞ্জ হয়ে ব্রাউজারের আইকন হয়ে যাবে। না করে থাকলে টেনশন নাই।
কিভাবে রান করবেন?
প্রথমে index.html বা আপনি যে নামে রাখছেন সেই নাম যেমন your_file_name.html সেই ফাইলটিকে খুঁজে বের করবেন। সেটাকে সিলেক্ট করা আবার মাউসের বাম বোতাম চাপুন। কি নিশ্চয় কোন অপশন আসছে আগের মতো সেখান থেকে আগে মতো Rename নয় open with খুঁজে বের করুন। মাউসটি সেখানে নিয়ে রাখুন দেখবেন আরেকটা ডায়ালগবক্স চলে এসেছে এইবার সেই ডায়ালগ বক্সে থেকে আপনার পছন্দের ব্রাউজার-এ ক্লিক দিয়ে দিন। (Mozila, Crome, UC Browser, Opera) ব্রাউজার লিস্ট এর মাঝে না পেলে chose default program select করুন ধরে নিলাম এইবার আপনি রান করে ফেলেছেন। এইবার চলে যান ধাপ ৩ এর দিকে।
open with.png
তবুও রান করতে না পরলে প্রথমে ব্রাউজার রান করুন তারপর html ফাইলটাকে টেনে হিচড়ে ব্রাউজারের এড্রেস বারে এনে ছেড়ে দিন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার রান।
ধাপ-৩ঃ
প্রথমেই ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে নিন। এইবার আপনি একটা বক্স দেখতে পাবেন সে বক্সে আপনার মনের কথা লিখুন যা আপনি স্টাইলিশ করতে চান। এইবার Covert বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস নিজে দেখুন স্টাইলিশ লেখা আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। এখন শুধু যে স্টাইল পছন্দ কপি করে নিয়ে ফেসবুকের টিউনের বক্সে গিয়ে পেস্ট করে দিন আর দেখুন মজা।
ডেমোঃ
stylish font for facebook.JPG
ধন্যবাদ সকলকে

Unfortunately Facebook ID LOGOUT PROBLEM SLOVED – মাত্র ১ মিনিটে ঠিক করুন Unfortunately Facebook Account




আজকে আমি আপনাদের দেখাবো এই Unfortunately প্রব্লেমে ফেসবুক আইডি কিভাবে ঠিক করতে হয়। তো আমরা এখন জেনে নেই এই ফেসবুক আইডি Unfortunately প্রব্লেম হবার কারনগুলো হল :
  • 1. ফেসবুকে ফেইক আইডি ব্যবহার করা
  • 2. সিংগেল নেইম ব্যবহার করলে
  • 3. ফেইক প্রফাইল পিকচার দিলে
  • 4. বাংলা ফন্ট দিয়ে নাম লিখলে
  • 5. ফেসবুকের কমিনিটি গাইডলাইন ভাংলে
এই সকল কারনেই  সাধারনতো ফেসবুক আইডিতে এই  Unfortunately প্রব্লেমটা হয়। ফেসবুকের লক নিয়ে এর আগেও আমার কয়েকটি ভিডিও রয়েছে, আপনারা চাইলে আমার সেই ভিডিওগুলি দেখে আসতে পারেন।

Unfortunately Help Link

Mail User Appeal From:
Hello Sir, When I Open My Facebook Id Shows Like This Unfortunately We r reviewing these additional documents we appericiate your passions. Sir this account was very important for me because, I have some buissness information in it. Sir please re open my facebook id.
Number User Appeal From:
Hello Sir, When I Open My Facebook Id Shows Like This Unfortunately We r reviewing these additional documents we appreciate your passions. Sir this account was very important for me because, I have some business information in it. Please sir, leave my account open.

[কমপ্লিট গাইড] সম্পূর্ণ লিগ্যাল বা বৈধ ভাবে উইন্ডোজ ১০, ৮ এবং ৭ এর ISO ফাইল ডাউনলোড করবেন যেভাবে – বিস্তারিত ব্যাখ্যা


বৈধভাবে মানে কিভাবে জেনুইন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করবেন সে ব্যাপারেই আজ টেকটিউনসে কথা বলতে চলে এলাম। মানে লিখতে এলাম আরকি! বাজারে ৪০/৫০ টাকায় আপনি আপনার পছন্দ সই উইন্ডোজ এর ডিক্স পেয়ে যাবেন। কিন্তু এগুলোই সবই হচ্ছে পাইরেটেড এবং “মডিফাইড” সংষ্করণ। আপনি যদি জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করতেন বা করছেন কিন্তু কোনো কারণে আপনাকে আবারো কম্পিউটারে উইন্ডোজ দিতে হবে কিন্তু  কিভাবে কোথায় জেনুইন ডিক্স ফাইল পাবেন? এই টপিকটি নিয়েই আমি আজ আপনাদের সাথে একটি টিউন করতে বসে পড়লাম!
জেনুইন উইন্ডোজ কি? একটি জেনুইন উইন্ডোজ এর দাম হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো (windows 10 pro - $199)। সেখানে আমরা বাজার থেকে ১০০ টাকার নিচেই একটি উইন্ডোজ ডিক্স পেয়ে যাচ্ছি। ফলাফল? আপনি উইন্ডোজ চালাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু সেটা পাইরেটেড সংস্করণ। পাইরেটেড সংস্করণে অসুবিধা কি? আপনি যদি অফলাইন ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে এইসব পাইরেটেড সংস্করণ নিশ্চিন্তে চালাতে পারেন। কিন্তু আপনি অনলাইন ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে পাইরেটেড সংষ্করণের উইন্ডোজগুলোতে আপনি মাইক্রোসফটের সর্বশেষ আপগ্রেডগুলোকে পাবেন না, প্লাস “ভাগ্য ভালো” থাকলে ডেক্সটপের নিচের কোনায় একটি সর্তকবার্তা দেখতে পাবেন “Your copy of windows is not genuine” আর একই সাথে বিভিন্ন ধরনের সিকুরিটি সমস্যা তো থাকছেই। এই সমস্যাগুলো বিশেষ করে লেটেস্ট Windows 10 অপারেটিং সিস্টেমে বেশি দেখা যায়।
জেনুইন উইন্ডোজ ছাড়া আমার মতো উপরের চিত্রের মতো আপডেট আপনি দিতে পারবেন না। যাই হোক, এবার আসি আসল কথায়! আপনি যদি জেনুইন উইন্ডোজ ইউজার হয়ে থাকেন এবং কোনো কারণে আপনার পিসিতে ফ্রেশ করে উইন্ডোজ দিতে হয় বা পুরোনো সংষ্করণ থেকে নতুন সংস্করণে আপগ্রেড করতে হয় তখন এই পাইরেটেড ডিক্স নিয়ে আপনি বিপদে পড়বেন ১০০% নিশ্চিত। কারণ পাইরেটেড ডিক্স নিয়ে উইন্ডোজ দেবার পর সেখানে আপনার জেনুইন উইন্ডোজ কী (windows key) দেবার কোনো সিস্টেম থাকে না কারণ সেগুলোতে উইন্ডোজ সার্ভারের সাথে যোগাযোগকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়, এছাড়াও পাইরেটেড এবং মডিফাইড অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে আপনি যখন আপনার জেনুইন কী দিতে যাবেন তখন আপনার Key কে চুরিও করা হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার দরকার ফ্রেশ এবং জেনুইন উইন্ডোজ ডিক্স ইমেজ বা যেগুলোকে আমরা iso ফাইল বলি। iso ফাইলকে আপনি সরাসরি যেকোনো পেনড্রাইভে বা খালি ডিভিডি ডিক্সে বার্ন করে বুটেবল করে নিতে পারবেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই আপনার পিসিতে উইন্ডোজ দিতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০ ISO ডাউনলোড

উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর জেনুইন ISO ফাইল ডাউনলোড করার সিস্টেমটি একই। তাই এখানে আমি উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করে দেখালাম। তবে আপনার যদি উইন্ডোজ ৮.১ ডাউনলোড দিতে কোনো সমস্যা হয় তাহলে কোনো সংকোচ না করে নিচের টিউমেন্ট বক্সে সেটা আমাকে জানিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও বিকল্প পদ্ধতি আমি টিউনে যোগ করে দিচ্ছি।
অফিসিয়ালভাবে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড দেবার সিস্টেম হচ্ছে Media Creation Tool নামের একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এই মিডিয়া ক্রিয়েশন টুল হচ্ছে মাইক্রোসফটের একটি সফটওয়্যার তাই পাইরেসি নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা করতে হবে না।

ধাপসমূহ:

১) প্রথমে আপনাকে মিডিয়া ক্রিয়েশন টুল ডাউনলোড করে নিতে হবে। ডাউনলোড করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
প্রোগ্রামটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে এবার সেটাকে ওপেন করুন।
২) প্রোগ্রামটি ওপেন করলে আপনাকে লাইসেন্স টার্ম দেখাবে, নিচে Accept বাটনে ক্লিক করুন।
৩) এবার টুলটি আপনাকে জিঙ্গাসা করবে আপনি কি করতে চান। এখানে "Create Installation Media for Another PC" বক্সে ক্লিক করুন এবং নিচের Next বাটনে ক্লিক করুন। (কারণ পিসি আপগ্রেড করার জন্য উইন্ডোজ আপডেট অপশনই তো রয়েছে!)
৪) এবার কিছু জিনিস লক্ষ্যনীয় রয়েছে। আপনি যে পিসিতে বসে এই মিডিয়া টুলটি দিয়ে উইন্ডোজ ডাউনলোড করবেন; সে পিসিতেই যদি জেনুইন উইন্ডোজ ১০ দিতে চান তাহলে সরাসরি Next বাটনে ক্লিক করুন। কিন্তু অন্য পিসি বা ল্যাপটপে দিতে চাইলে এখানে "Use recommended options for this PC" বক্সে টিক চিহ্ন আপনাকে উঠিয়ে দিতে হবে এবং Language, Edition ও Architecture সিলেক্ট করতে হবে। এখানে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ আপনার লাইসেন্সটি যদি উইন্ডোজ ১০ প্রো ৩২ বিটের হয়ে থাকে তাহলে আপনি উইন্ডোজ ১০ হোম ৬৪ বিট ইন্সটল দিতে পারবে না (ডাউনলোড করতে পারবেন কিন্তু ইন্সটল দিয়ে জেনুইন ভেলিড করতে পারবেন না)। তাই প্রথমে আপনার ওই পিসির লাইসেন্স কীটি কোন সংষ্করণের কোন বিটের জন্য আগে সেটা জেনে নিন। তারপর এখানে Language এর স্থানে English বা আপনার লাইসেন্সে যা আছে তা সিলেক্ট করুন, Edition বক্সে উইন্ডোজ ১০ এর কোন সংষ্করণটি আপনার লাইসেন্সে রয়েছে সেটা নির্ধারণ করুন এবং সর্বশেষে Architecture ঘরে ৩২ নাকি ৬৪বিট উইন্ডোজ সেটা সিলেক্ট করে দিন। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
৫) পরের উইন্ডোতে টুলটি আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কিভাবে এই ডিক্স ইমেজটি ব্যবহার করবেন। এখানে যদি আপনি USB ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মাধ্যমে এই ডিক্স ইমেজটি ইন্সটল করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ৮ গিগাবাইটের পেন ড্রাইভ পিসিতে দিয়ে রাখতে হবে, এবং মনে রাখবেন এই প্রসেসে পেনড্রাইভটিকে ফরম্যাট দেওয়া হবে তাই পেনড্রাইভে কিছু রাখবেন না। তবে আজকে আমি iso ফাইল ডাউনলোড নিয়ে কথা বলছি এবং পরবর্তীতে iso ফাইল দিয়েই আপনি পেনড্রাইভ এবং ডিভিডি বার্ন দুটোই করতে পারবেন। তাই এখানে ISO file বক্সে টিক দিয়ে Next বাটনে ক্লিক করুন।
৬) next বাটনে ক্লিক করার পর একটি পপ আপ উইন্ডো আসবে, এখানে windows 10 এর iso ফাইলটি আপনার পিসির কোথায় ডাউনলোড করতে চান মানে কোথায় সেভ করতে চান সেটির path কে দেখিয়ে দিন, তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন।
৭) এবার উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড হতে থাকবে। এবং আপনাকে আপনার ইন্টারনেট স্পিডের উপর ভিক্তি করে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ডাউনলোড হবার জন্য। প্রায় ৪ গিগাবাইটের সাইজের এই iso ফাইলটি নামাতে গেলে কতটুকু সময় লাগবে সেটা আপনার নেটের স্পিডের উপর ক্যালকুলেশন করে বের করে নিন (না বের করতে পারলে নিচে টিউমেন্ট বক্সে টিউমেন্ট করুন আমি বলে দিচ্ছি)। ডাউনলোড শেষ হয়ে গেলে নিচের মতো উইন্ডো আসবে। এবার আপনার পিসিতে কোনো ডিভিডি ডিক্স বার্নার সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকলে Open DVD burner অপশনে ক্লিক করতে পারেন বা সরাসরি নিচের Finish বাটনে ক্লিক করুন।
এভাবে আপনি আপনার কাংখিত windows 10 অপারেটিং সিস্টেমের জেনুইন এবং ফ্রেশ iso ফাইল পেয়ে গেলেন। এবার এটাকে পেনড্রাইভে বুটেবল করে কিংবা ডিভিডি ডিক্সে বার্ন করে ফ্রেশ ভাবে উইন্ডোজ দিতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড (ডাইরেক্ট লিংক)

উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন কিন্তু উপরের অফিসিয়াল পদ্ধতিটি মানে Media Creation টুলটির মাধ্যমে করতে চাচ্ছেন না বরং ডাইরেক্ট লিংক যারা চাচ্ছেন তাদের জন্য এই মেথডটি আমি নিয়ে এলাম। মনে রাখবেন এভাবেও আপনি ফ্রেশ ও জেনুইন Windows ১০ এর iso সরাসরি মাইক্রোসফট সার্ভার থেকেই ডাউনলোড করতে পারবেন কিন্তু এখানে media creation টুলটি সাহায্য ছাড়াই ডাইরেক্ট লিংক কিভাবে পাবেন সেটা আমি দেখিয়ে দিচ্ছি:
Microsoft Edge ব্রাউজারে:
১) মাইক্রোসফট Edge ব্রাউজার ওপেন করুন এবং নিচের লিংকে চলে চান:
রিডাইরেক্ট হয়ে গেলেও চিন্তা করবেন না।
২) পেজটি সম্পূর্ণভাবে লোড হয়ে গেলে পেজে রাইট ক্লিক করুন এবং অপশনগুলোর থেকে Inspect element কে সিলেক্ট করুন।
৩) তারপর Emulation ঘরে ক্লিক করুন।
৪) এখানে Mode ঘরে User agent string বক্সে "Apple Safri (ipad)" অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর পেজটিকে রিলোড করে নিন (F5 বাটন চেপে)
৫) রিলোড দিলে এবার আপনার সামনে ওয়েবপেজটিতেই উইন্ডোজ সংস্করণ বেছে নেওয়া অপশন চলে আসবে! এখান থেকে Language, Editon সিলেক্ট করে নিন।
৬) এবার 32-bit Download / 64-bit Download এর যেকোনো একটি বক্সে ক্লিক করলে দেখবেন উক্ত বিটের উইন্ডোজটি ব্রাউজারে ডাউনলোড হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
গুগল ক্রোম ব্রাউজারে:
এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (মানে MS EDGE আরকি!) এবং গুগল ক্রোমে করা যায়। মজিলা এবং অনান্য ব্রাউজারেও করা যায় তবে সেগুলো বেশ ঝামেলা তাই আপনি গুগল ক্রোম মানে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক ভাবে এই পদ্ধতিটি ফলো করতে পারলে আপনি সরাসরি IDM বা অন্য ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়েই মাইক্রোসফট সার্ভার থেকে জেনুইন এবং ফ্রেশ উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করতে পারবেন।
১) ক্রোমে গিয়ে নিচের লিংকে চলে যান:
এখানে গেলে দেখবেন যে ১ম পদ্ধতির মতোই মিডিয়া ক্রিয়েশন টুলের লিংক দেখাচ্ছে! তবে হতাশ হবেন না!
২) পেজে রাইট বাটন ক্লিক করুন এবং Inspect অপশনে ক্লিক করুন। (অথবা সরাসরি কিবোর্ড থেকে Ctrl+Shift+I চাপুন)
৩) ডান দিকে ডেভেলপার টুলস উইন্ডো আসবে। এখান থেকে তিনটি ডটযুক্ত (ছবিতে দেখুন) অপশনে ক্লিক করে More Tools > Network conditions অপশনে ক্লিক করুন।
৪) এবার User agent অপশনে Select automatically ঘরে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন এবং ড্রপ ডাউন বক্স থেকে "safari- iPad iOS 9" অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর পেজটি রিফ্রেশ / রিলোড দিন।
৫) পেজটি রিলোড দিলেই দেখবেন যে ওয়েবপেজেই Select edition অপশনটি চলে এসেছে। এবার আপনার লাইসেন্স অনুযায়ী সংস্করণটি সিলেক্ট করুন।
৬) Language সিলেক্ট করুন।
৭) এবার আপনার লাইসেন্স অনুযায়ী ৩২ বা ৬৪ বিট সংস্করণ ডাউনলোড করতে সঠিক বক্সে ক্লিক করুন। দেখবেন ব্রাউজারে বা IDM য়ে লিংকটি থেকে উইন্ডোজ ডাউনলোড হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
বি:দ্র:
খেয়াল করে দেখুন যে এভাবে তৈরিকৃত লিংকটি ২৪ ঘন্টার জন্য অনলাইনে থাকবে, তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিংকটি দিয়ে আপনাকে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করতে হবে। ২৪ ঘন্টার লিমিট না থাকলে আমি এই টিউনে সরাসরি লিংকগুলো দিয়ে দিতাম।

উইন্ডোজ ৮.১ ISO ডাউনলোড

এখানে এটি কথা বলা জরুরী, এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনি উইন্ডোজ ৮.১ ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার কাছে যদি শুধুমাত্র “উইন্ডোজ ৮” এর লাইসেন্স কী থাকে তাহলে সেটা কিন্তু উইন্ডোজ ৮.১ য়ে কাজ করবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে উইন্ডোজ ৮ ইন্সটল করতে হবে, তারপর সেখানে লাইসেন্স কী ঢুকিয়ে সেটাকে জেনুইন করে নিতে হবে, তারপর সেটা উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমে ফ্রিতে আপগ্রেড করিয়ে নিতে হবে। আপগ্রেড করানোর পরেই আপনি মাইক্রোসফট থেকে একটি ভেলিড ও জেনুইন উইন্ডোজ ৮.১ লাইসেন্স কী পাবেন। আর সেটার পরেই আজকের দেখানো নিয়মে আপনি উইন্ডোজ ৮.১ ডাউনলোড এবং ইন্সটল করতে পারবেন।
উইন্ডোজ ৮.১ ডাউনলোড করার জন্য মিডিয়া ক্রিয়েশন টুল ব্যবহার করতে হয় না। তাই এখানে সরাসরিই আপনি ডাইরেক্ট লিংক মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকেই তৈরি করে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি লিমিট রয়েছে তা হলো লিংক তৈরির ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেটা থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
১) সরাসরি চলে যান মাইক্রোসফটের ৮.১ ডাউনলোড সাইটে:
২) আপনার লাইসেন্সকৃত উইন্ডোজের এডিশনটি ড্রপ ডাউন বক্স থেকে সিলেক্ট করে confirm করে নিন।
৩) এরপর ভাষা নির্বাচন করুন।
৪) এবার যে বিটের ৮.১ আপনার প্রয়োজন সেটা ডাউনলোড করে নিন।
মনে রাখবেন এটাও লিংক তৈরি করার ২৪ঘন্টা পর্যন্ত ডাউনলোডের  মেয়াদ থাকবে।

উইন্ডোজ সেভেন ISO

উইন্ডোজ এক্সপির মতোই উইন্ডোজ সেভেনেও মাইক্রোসফট আর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সার্ভিসগুলো বন্ধ করে দিবে। তবে এখনো আপনি জেনুইন উইন্ডোজ সেভেন ISO ফাইলটি মাইক্রোসফট সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তবে এখানে কিছু রুলস রয়েছে। প্রথমত এখানে আপনি "Windows 7 SP1" ডাউনলোড করতে পারবেন, পরবর্তীতে ইন্সটল করে নিয়ে উইন্ডোজ আপডেটের মাধ্যমে আপনাকে সার্ভিস প্যাক আপডেট করতে হবে। দ্বিতীয়ত এখানে ডাউনলোড করতে হলে আপনার জেনুইন উইন্ডোজ সেভেন লাইসেন্স কী প্রয়োজন হবে।
১) সরাসরি উইন্ডোজ ৭ ডাউনলোড পেজে চলে যান:
২) Enter Product Key বক্সে আপনার জেনুইন লাইসেন্স কী টি বসান এবং Verify বাটনে ক্লিক করুন
৩) ভাষা নির্বাচন করুন
৪) এবার কোন বিটের উইন্ডোজ ৭ নামাতে চান সেটায় ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।

পরিশিষ্ট:

আশা করবো আজকের টিউনটি পড়ার পর কোথা থেকে জেনুইন এবং ফ্রেশ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করবেন সেটা নিয়ে আপনার আর কোনো চিন্তা থাকবে না।
টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Monday 27 August 2018

[কমপ্লিট গাইড] এখনো যেভাবে জেনুয়িন ভাবে ও ফ্রিতে পাইরেটেড লাইন্সেস ছাড়া Windows 10 অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করবেন! – বিস্তারিত গাইডলাইন!



উইন্ডোজ ১০ এর ফ্রি আপগ্রেড এর সুযোগ কিন্তু শেষ! ডিসেম্বর, ২০১৭ সাল পর্যন্ত যারা জেনুইন উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহার করতেন তারা কিন্তু একদম ফ্রিতেই উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু যারা যারা তখন এই ফ্রি সুযোগটি নেন নি তারা এখন কি করবেন?
সেই কথা নিয়েই আমি আমার আজকের টিউনটি সাজিয়েছি। পবিত্র ঈদ-উল-আজহার আগে শেষ টিউনে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি স্বাগতম। উইন্ডোজ ১০ নিয়ে ধারাবাহিক টিউনের ৩য় টিউনে আপনারা এখন রয়েছে। যাই হোক এবার টিউনের বিষয়বস্তুতে চলে আসি।
যারা তখন এই সুবর্ণ সুযোগটি লুফে নিয়েছিলেন তারা কিন্তু এখন বৈধ্যভাবে উইন্ডোজ ১০ এর মালিক! হ্যাঁ তারা এখন চাইলে যখন তখন তাদের পিসিতে ক্লিন ভাবে জেনুইন উইন্ডোজ ১০ দিতে পারবেন। কিন্তু যারা ওই সময়ের মধ্যে উইন্ডোজ ১০ য়ে আপগ্রেড করেননি তারা এখন কি করবেন? আশা হারাবেন না! আপনাদের জন্যও এখন সুযোগ রয়েছে!
পাইরেটেড লাইন্সেস ছাড়াও আপনি উইন্ডোজ ৭ বা ৮ এর বৈধ্য লাইন্সেস কী দিয়ে উইন্ডোজ ১০ য়ে আপগ্রেড করতে পারবেন কিংবা কোনো লাইসেন্স কী ছাড়াও উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারবেন (লে হালুয়া!)! এগুলোর সবই আমি নিচে উল্লেখ করে দিচ্ছি:

পুরাতন জেনুইন উইন্ডোজ লাইসেন্স ব্যবহার করে

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যারা জেনুইন উইন্ডোজ ৭, ৮ বা ৮.১ ব্যবহার করতেন তারা মনে করে দেখুন; Get Windows 10 নামের একটি টুল ছিলো যেটা ব্যবহার করে তখন উইন্ডোজ ১০ য়ে ফ্রিতে আপনারা আপগ্রেড করতে পারতেন। তবে এখন এই টুলটি স্বাভাবিক ভাবেই আপনারা পাবেন না। তো এখন কি করবেন?
এখন আপনাকে যা করতে হবে সেটা হলো প্রথমে আপনাকে চেক করতে হবে যে আপনার বর্তমান উইন্ডোজটি (৭ বা ৮.১) জেনুইন কিনা।
কিভাবে বুঝবেন যে জেনুইন কিনা? চলে যান Control Panel > System and Security > System উইন্ডোতে। এখানে নিচের দিকে স্ক্রল করে Windows activation সেক্টরে যদি দেখেন যে windows is activated লেখা এবং ডান দিকে মাইক্রোসফটের জেনুইন লোগোটি শো করছে তাহলে বুঝবেন যে আপনি জেনুইন উইন্ডোজ ৭ চালাচ্ছেন। এছাড়াও পাইরেটেড লাইসেন্স এবং টুল ব্যবহার করেও এই এটিভেশন ও ডান দিকের জেনুইন লোগোটি আনা যায় তাই আপনি উইন্ডোজ আপডেট অপশনটি একবার চেক করতে পারেন। যদি দেখেন যে আপনার পিসি বা ল্যাপটপটিতে উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর সিকুরিটি আপডেট নিচ্ছে বা ডাউনলোড হচ্ছে তাহলেই আপনি বুঝে নিবেন যে আপনি একটি জেনুইন উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ চালাচ্ছেন। (কারণ পাইরেটেড সংস্করণে জেনুইন লেখা থাকলেও উইন্ডোজ আপডেটগুলো আপনি নামাতে পারবেন না)
এবার আসি সংস্করণে। সহজ ভাষায় আপনার পিসিতে যদি নিচের জেনুইন উইন্ডোজ লাইসেন্সগুলো থাকে:
  • Windows 7 Starter
  • Windows 7 Home Basic
  • Windows 7 Home Premium
  • Windows 8.1
  • Winodws 8.1 with Bing
তাহলে আপনি আপনি এই পদ্ধতিতে আপগ্রেড করলে পাবেন Windows 10 Home সংস্করণকে। আবার আপনার জেনুইন লাইন্সেসটি যদি:
  • Windows 7 Professional
  • Windows 7 Ultimate
  • Windows 8.1 Pro
এগুলো হয়ে থাকে তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন Windows 10 Pro সংস্করণটি!

১ম পদ্ধতি:

উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ থেকে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে ফ্রিতে আপগ্রেড করার প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটালেশন মিডিয়ার মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে আপগ্রেড করতে গেলে আপনার জেনুইন লাইসেন্সওয়ালা উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ সহ যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে স্ট্যাবল বিদ্যুৎ সরবরাহ; কারণ ইন্সটালেশনের মাঝে লোডশেডিং বা ইন্টারনেট সংযোগ চলে গেলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। প্লাস উইন্ডোজ ১০ ডিক্স ইমেজ এর সাইজ প্রায় ৪ গিগাবাইটের উপরে তাই এ পদ্ধতিতে আপগ্রেড করতে হলে আপনার চাই দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড বা ৪জি নেটওর্য়াকের ইন্টারনেট সংযোগ, তা না হলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে আপনাকে আপগ্রেড করতে হবে।
১) চলে যান উইন্ডোজ ১০ এর ওয়েবসাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন Windows 10 Installation Media tool কে
২) ডাউনলোড কৃত Windows 10 Installation Media টুলকে ওপেন করুন এবং লাইসেন্স টার্মকে accept করে পরবর্তী উইন্ডোতে আসুন। এবার What do you want to do? উইন্ডোতে সিলেক্ট করুন Upgrade this PC now।
৩) এবার টুলটি উইন্ডোজ ১০ এর ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে থাকবে। এখন আপনার কাজ হচ্ছে বসে থেকে ডাউনলোড কমপ্লিট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা (৪ গিগাবাইট ডাউনলোড হতে যতক্ষণ লাগে আরকি)
৪) ডাউনলোড হয়ে গেলে Creating Windows 10 Media উইন্ডোটি আসবে। এটাকেও ১০০% হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৫) তারপর আসবে We're getting a few things ready উইন্ডোটি। অপেক্ষা করুন (এ অপেক্ষা আর শেষ হবার নয়! লোল)
৬) তারপর আবারো লাইসেন্স টার্ম আসবে, এটাকে Accept করে পরবর্তী উইন্ডোতে আসুন।
৭) অপেক্ষা করুন.
৮) এবার আপনি পাবেন Ready to install উইন্ডোতে। এখানে এসে আপনি দেখবেন যে কোন উইন্ডোজ ১০ সংষ্করণটি আপনি পেতে যাচ্ছেন (আপনার বর্তমান উইন্ডোজ ৭/৮.১ সংষ্করণ অনুযায়ী), এবার Change what to keep  লিংকে ক্লিক করুন।
৯) এই ধাপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তাই মনোযোগ দিয়ে দেখুন (আপনার ফাইল মুছে গেলে আমি বা টেকটিউনস দায়ী থাকবো না)।   Choose what to keep উইন্ডোতে এসে আপনি তিনটি অপশন পাবেন। এখানে বাই ডিফল্ট ১ম অপশন “keep personal files and apps” টি সিলেক্ট করা থাকবে। এতে আপনি বর্তমানের সকল সফটওয়্যার এবং সি ড্রাইভের সকল ডকুমেন্টকে অক্ষত অবস্থায় রাখতে পারবেন। ২য় অপশনটি সিলেক্ট করলে আপনার পিসির বর্তমান সকল ইন্সটলকৃত সফটওয়্যারকে মুছে দেওয়া হবে কিন্তু সি ড্রাইভের সকল ডকুমেন্টকে আপনি হারাবেন না। ৩য় অপশন কে সিলেক্ট করলে পুরো সি ড্রাইভের সকল ব্যক্তিগত ফাইলকে আপনি হারাবেন তাই ৩য় অপশনকে সিলেক্ট করার আগে মাই ডকুমেন্ট এবং ডেক্সটপের ফাইলসহ সি ড্রাইভের আপনার সকল গুরুত্বপূর্ণ ফাইলকে ব্যাকআপ করে নিন। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
১০) এবার উইন্ডোজ ১০ আপনার পিসি বা ল্যাপটপে আপগ্রেড হতে থাকবে। আপগ্রেড হবার সময় মাঝে মাঝে পিসি / ল্যাপটপ রির্স্টাট নিতে পারে। অপেক্ষা করুন।
১১) সেটআপ প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে পিসি রিস্টার্ট নিয়ে উইন্ডোজ ১০ এ আপনি প্রবেশ করবেন! অভিনন্দন আপনাকে!
১২) Welcome to Windows 10! আসবে। Next বাটনে ক্লিক করুন।
১৩) উইন্ডোজ ১০ এর প্রাইভেসি সেটিংসগুলোকে আপনার পছন্দমতো এডিট করে নিতে পারেন। Accept বাটনে ক্লিক করুন।
১৪) মাইক্রোসফটের AI ফিচার মানে Cortana কে ব্যবহার করবেন কিনা সেটা বেছে নিন!
১৫) এবার উইন্ডোজ ১০ ফাইনালাইজ হতে থাকবে।
১৬) ব্যাস! ফ্রিতেই আপগ্রেড করা হয়ে গেলো উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে। এবার আগের মতো একই ভাবে মাই কম্পিউটারের প্রোপার্টিজ য়ে গেলে দেখতে পাবেন যে আপনার উইন্ডোজ ১০ “ডিজিটাল লাইসেন্স টার্মে একটিভ করা হয়েছে।
বি:দ্র: ৬ষ্ঠ প্রজন্মের কোর আই ৭ প্রসেসর, ৬ গিগাবাইট র‌্যামের পিসিতে 10MBPS ইন্টারনেট সংযোগে উপরের পদ্ধতিতে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল দিতে আমার সময় লেগেছে প্রায় ৪ (চার) ঘন্টার মতো! এখানে মাত্র ৩০ মিনিট লেগেছে ফাইলগুলো ইন্সটল হতে কিন্তু প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা লেগেছে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করতে (বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড লাইনের জয় হোক!)

২য় পদ্ধতি:

এ পদ্ধতিতে আপনাকে বুট মেন্যুর সাহায্যে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল দিতে পারবেন। তবে এই পদ্ধতিটিতে ল্যাপটপে ইন্সটল করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার পড়তে পারেন আপনি কারণ ল্যাপটপে বুট মেন্যুতে ঝামেলা থাকে যা উইন্ডোজ সেটআপ দেবার সময় দেখা দিতে পারে। এই পদ্ধতিটি যারা পিসি এক্সপার্ট তাদের জন্য প্রযোজ্য। তাই পিসি সম্পর্কে এবং বুট মেন্যু থেকে উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়া সম্পর্কে যাদের জ্ঞান নেই তারা উপরের ১ম পদ্ধতিটি ফলো করুন। ১ম পদ্ধতি বেশ সহজ। কিন্তু ২য় পদ্ধতিতে ইন্সটল করতে গেলে আপনার দরকার হবে জেনুইন উইন্ডোজ ৭ বা উইন্ডোজ ৮.১ এর লাইসেন্স কী ফাইল। উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর জেনুইন লাইসেন্স কী কোথায় পাবেন? আপনার ল্যাপটপে যদি জেনুইন ভাবে উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ দেওয়া থাকে তাহলে ল্যাপটপের নিচে স্টিকার আকারে দেখবেন যে ৭ বা ৮.১ এর কী ফাইলটি দেওয়া রয়েছে, এটাই আপনার ল্যাপটপের সাথে আসা জেনুইন লাইসেন্স কী! এছাড়াও নতুন ল্যাপটপ এবং পিসিগুলোর বায়োসে উইন্ডোজ এর কী দিয়ে দেওয়া থাকে, এগুলোকে বলা হয় OEM লাইসেন্স কী। আপনি থার্ড পার্টি বিভিন্ন টুলের মাধ্যমে আপনার পিসি বা ল্যাপটপে বায়োসে স্টোরকৃত উইন্ডোজ কীটি বের করে নিতে পারেন। কিভাবে করবেন তা নিচে দেখাচ্ছি:
ক) Show Key Plus নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন নিচের লিংক থেকে:
আমার নিজের আপলোড করা ফাইল এটা, তাই ভাইরাসের চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন!
খ) জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন এবং ShowKeyPlus প্রোগ্রামটি ওপেন করুন।
গ) এখানে আপনি OEM key এবং OEM Edition ঘরে আপনার পিসি / ল্যাপটপের বায়োসে থাকা উইন্ডোজের লাইসেন্স ফাইলটি পেয়ে যাবেন এবং একই সাথে সেটা কোন সংষ্করণের সেটাও জানতে পারবেন!

সেটআপ:

বায়োস থেকে বা অন্য উপায়ে আপনার পিসি / ল্যাপটপের উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর জেনুইন লাইসেন্স কীটি পেয়ে গেলে এবার আপনার চাই ফ্রেশ একটি উইন্ডোজ ১০ এর সেটআপ ফাইল। কিভাবে ফ্রেশ এবং জেনুইন উইন্ডোজ সেটআপ ফাইল পাবেন সেটা জানতে আমার এই টিউনটি ফলো করুন:
উপরের টিউনে দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী মাইক্রোসফটের সার্ভার থেকে আপনার ৭ বা ৮.১ এর ভার্সন অনুযায়ী উইন্ডোজ ১০ ইমেজ ফাইলকে ডাউনলোড করে নিন। তারপর সেটাকে ৮ জিবির পেনড্রাইভে কিংবা ডিভিডি ডিক্সে বার্ন করে নিন। তারপর পেনড্রাইভকে বা ডিক্সটি বুটেবল অপশন করে উইন্ডোজ সেটআপ কে বুটেবল করুন। উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করার সময় নিচের উইন্ডো আসবে:
এখানে আপনার জেনুইন উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর লাইসেন্স কীটি প্রবেশ করান, সেটআপটি এটাকে গ্রহণ করবে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বুট অপশন থেকে উইন্ডোজ ১০ দিয়ে দিন।
উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করা হয়ে গেলে Settings > Update & Security > Activation অপশনে গেলে দেখবেন যে ডিজিটাল লাইসেন্স টার্মে আপনার কাংখিত উইন্ডোজ ১০টি একটিভ হয়ে রয়েছে।
বি:দ্র: আমার কাছে বৈধ্য উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর লাইসেন্স কী নেই তাই ২য় পদ্ধতিটি বিস্তারিত ভাবে আপনাদেরকে দেখাতে পারলাম না। তবে আশা করবো মূল বিষয়টি আমি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি।

অতিরিক্ত পদক্ষেপ

ডিজিটাল লাইসেন্স টার্মে উইন্ডোজ ১০ একটিভ হয়ে গেলে এবার আপনার অতিরিক্ত পদক্ষেপ হিসেবে যা করতে হবে তা হলো এই উইন্ডোজ ১০ এর লাইসেন্স কী ফাইলটি সংগ্রহ করে রাখা। এর জন্য যা করবেন তা হলো উইন্ডোজ ১০ ডিজিটাল লাইসেন্স কী কে আপনি আপনার মাইক্রোসফট একাউন্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন।
অথবা
ShowKeyPlus সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার বর্তমান উইন্ডোজ ১০ এর ডিজিটাল লাইসেন্স কী কে বের করে নিয়ে সেটাকে আপনার উচিত কোনো সুরক্ষিত এবং গোপন স্থানে নোট করে রাখা। যাতে পরবর্তীতে ফ্রেশ উইন্ডোজ ১০ সেটআপ দেবার সময় এই কী কে কাজে লাগাতে পারেন।

ওয়ানিংকে পাত্তা না দেওয়া!

আপনি যদি উপরের এইসব ওয়ার্নিং কে পাত্তা না দেন তাহলেও কোনো প্রকার লাইনেন্স কী ছাড়াও আপনি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারবেন! হাহাহাহা! তবে এখানে আপনাকে নিজে থেকে আপনার পিসি / ল্যাপটপের মাদারবোর্ড সফটওয়্যারগুলোকে (ভিডিও, অডিও ইত্যাদি) ইন্সটল দিতে হবে এবং এই ভাবে উইন্ডোজের নিজস্ব এন্টিভাইরাস Windows Defender কাজ করবে না। তাই আপনাকে আলাদা এন্টিভাইরাসও দিতে হবে।
এছাড়াও এভাবে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করলে আপনি ডেক্সটপের ওয়ালপেপার কে পরিবর্তন করতে পারবেন না এবং কোনো থিম ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে উপরের চিত্র মতো কোনো ইমেজের উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Set as desktop background অপশনটি ব্যবহার করে আপনি ডেক্সটপের ওয়ালপেপাল পাল্টাতে পারেন! তবে এভাবে উইন্ডোজ ১০ চালানো উচিত না এবং এভাবে আপনি উইন্ডোজ ১০ এর  কোনো সিকুরিটি আপডেট পাবেন না।

৩ মাসের ফ্রি ট্রায়াল!

চোরের উপর বাটপারি আরকি! আপনি চাইলে Windows 10 Enterprise সংষ্করণকে বৈধ্য ভাবে “৯০ দিন” এর জন্য ট্রায়াল হিসেবে চালাতে পারবেন। এতে উইন্ডোজ ১০ এন্টারপ্রাইজ এর সকল সুবিধাই আপনি পাবেন আর এখানেও আপনাকে কোনো লাইসেন্স কী এর প্রয়োজন হবে না। কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে ৯০ দিন পর কি করবেন? আবারো একই ভাবে উইন্ডোজ ১০ এন্টারপ্রাইজ আপনাকে সেট আপ করতে হবে! (লোল)
Windows 10 Enterprise সংষ্করণ কে ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চলে যান এই লিংকে।

উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ এর ভবিষ্যৎ

উইন্ডোজ এক্সপির কথা মনে আছে? টানা ১৩ বছর ধরে চলে আসা এই অপারেটিং সিস্টেমটি অফিসিয়াল ভাবে ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ এখন পরবর্তী টার্গেট হচ্ছে উইন্ডোজ ৭। তবে এখনই তা হচ্ছে না। উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ এখনো প্রায় কয়েকবছর ধরে মাইক্রোসফট সার্পোট করে যাবে। আপনি উইন্ডোজ ৭ এর সিকুরিটি আপডেট “১৪ জানুয়ারী, ২০২০” সাল পর্যন্ত পাবেন এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর সিকুরিটি আপডেট “১০ জানুয়ারী, ২০২৩” পর্যন্ত পাবেন। অর্থাৎ অফিসিয়াল ভাবে আপনি আরো দেড় বছর পর্যন্ত উইন্ডোজ ৭ এবং আরো চার বছর পর্যন্ত উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে এখনো বিজনেস ক্ষেত্রে উইন্ডোজ ৭ বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনি যদি জেনুইন উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ ব্যবহার করেন তাহলে নিশ্চিন্তে দেড় থেকে চার বছর পর্যন্ত আপনার ওএসটি আপনি চালাতে পারবেন।
চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখনো উইন্ডোজ ১০ এর থেকে উইন্ডোজ ৭ প্রায় অনেক বেশিই ব্যবহৃত হচ্ছে।

উইন্ডোজ ১০ এর দাম ১০ হাজার টাকা!

জ্বী! অফিসিয়াল ভাবে আপনি যদি জেনুইন উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা খসাতে হবে। উইন্ডোজ ১০ হোম এডিশনের দাম ১১৯ মার্কিন ডলার (৯ হাজার ৯৩৫ টাকা) এবং উইন্ডোজ ১০ প্রফেশনাল এডিশনের দাম ২০০ মার্কিন ডলার (১৬ হাজার ৬৯৫ টাকা)। কিন্তু বাস্তবে সরাসরি এই উইন্ডোজ ১০ খুবই কম মানুষ কিনে থাকে। নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কিনলে সেখানে উইন্ডোজ ১০ এর এই লাইসেন্স ফি অন্তর্ভূক্ত করা থাকে।
২০২০ সাল মানে দেড় বছরের কম সময়ের মধ্যেই উইন্ডোজ ৭ বাতিল হতে যাচ্ছে, তখন আপনাকে বাধ্য হয়েই উইন্ডোজ ৮.১ বা এই উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করতে হবে কিংবা আপনি অন্য কোনো ব্রান্ডের অপারেটিং  সিস্টেমে চলে যেতে পারেন।

পরিশিষ্ট:

তো এই ছিলো কিভাবে আপনি এখনো উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে ফ্রিতে আপগ্রেড করতে পারবেন। মনে রাখবেন যে “২য় পদ্ধতি” টি টিউনটি লেখার সময় পর্যন্ত (আগষ্ট, ২০১৮) কাজ করছে, কিন্তু এই পদ্ধতিটি যেকোনো সময় মাইক্রোসফট বন্ধ করে দিতে পারে। তাই আপনি যদি এই টিউনটি ২০১৯ বা বেশ পরে দেখে থাকেন এবং ২য় পদ্ধতিটি কাজ না করলে তখন আমাকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। আজ এ পর্যন্তই রইল। আবারো পবিত্র ঈদ-উল-আজহার পর আমি চলে আসবো অনান্য সব দারুণ টপিক নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ!