Thursday, 7 April 2022

বিকল্প ১১ টি সার্চ ইঞ্জিন যেগুলো নির্দিষ্ট বিষয়ে গুগলের চেয়ে ভাল কাজ করে

 

টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। বরাবরের মত চলে এসেছি নতুন কোন টিউন নিয়ে। আজকের টিউনটি মূলত বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর উপর।

গুগল বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন এতে সন্দেহ নেই তবে গুগল আপনাকে সব কিছু সার্চ দিয়ে দেখাতে পারে বিষয়টি এমন নয়। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সার্চ দিতে এবং উপযুক্ত রেজাল্ট পেতে গুগলের বিকল্প কিছু সার্চ ইঞ্জিন দারুণ কাজ করে৷

গুগল ছাড়া আমরা ইন্টারনেটে এক মুহূর্তে কল্পনা করতে পারি না। কখনো যদি গুগল কোন কারণে কিছু মুহূর্তের জন্য অফ থাকে তাহলে কতটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়, এটা যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারাই কেবল জানেন। তবে বিভিন্ন প্রাইভেসি ইস্যুতে গুগল প্রায়ই আলোচনায় আসে, ইউজাররা বিকল্প সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে। গুগল ব্যবহার একবারে অফ না করে দিলেও বিভিন্ন কাজে বিকল্প সার্চ ইঞ্জিন গুলো মানুষ ব্যবহার করে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক বিকল্প ১১ টি সার্চ ইঞ্জিন যেগুলো আলাদা আলাদা কাজে আপনাকে বেশ ভালো রেজাল্ট দিতে পারে। ১১ টি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে কিছু আছে আন-ফিল্টার সার্চ ইঞ্জিন যেগুলো কোন ফিল্টারিং ছাড়া আপনাকে সার্চ রেজাল্ট দেবে।

১. Ecosia

গুগল তার নিজের জায়গায় যেমন সেরা তেমনি, Ecosia তার জায়গাতে সেরা। তবে এটি ভিন্ন দিক থেকে সেরা। এই সার্চ ইঞ্জিনটি Bing এর সার্চ রেজাল্ট ব্যবহার করে। এর মানে হল Bing থেকে সার্চ রেজাল্ট কিনে নিজেরা মডিফাই করে ইউজারদের কাছে প্রদর্শন করে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ৮০% ব্যবহার করা হয় পরিবেশ রক্ষায়। ইউজারদের এড দেখার ফলে যে অর্থ আয় হয় সেটা Burkina Faso, Madagascar, Indonesia, এবং Peru এর মত দেশ গুলোতে বৃক্ষরোপণের কাজে ব্যবহৃত হয়। এটার FAQs গিয়ে তাদের সম্পর্কে এবং তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

Ecosia একটি আন-ফিল্টার সার্চ ইঞ্জিন তবে যেহেতু এটি প্রাকৃতিক ভারসাম্য নিয়ে কাজ করে তাই, পরিবেশ সংক্রান্ত বা সবুজ বিপ্লবে অংশ নেয়া ওয়েবসাইট গুলোকে মানুষ বেশি গুরুত্ব দেয়।

Ecosia

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Ecosia

২. Qwant

আপনি যদি প্রাইভেট সার্চ ইঞ্জিন বা প্রাইভেসি ফোকাস সার্চ ইঞ্জিন এর কথা চিন্তা করেন তাহলে Qwant কে আপনার প্রথম দিকে রাখতে হবে। Qwant দেখতে অনেকটাই গুগলের মত ভিজ্যুয়াল সার্চ ইঞ্জিন, তবে এক দুইটা কারণে এটা গুগল থেকে বেশি আকর্ষণীয়।

এই সার্চ ইঞ্জিনটি আপনার সকল সেটিংস এবং ডেটা আপনার ডিভাইসের লোকাল স্টোরেজে সেভ রাখবে। চাইলে রেজিস্ট্রেশন করে, নির্দিষ্ট সার্চ গুলো আপনি বুকমার্ক করেও রাখতে পারেন। আগেই বলেছি এটি একটি প্রাইভেসি ফোকাস সার্চ ইঞ্জিন, সুতরাং প্রাইভেসি সম্পর্কে তদের বক্তব্য, আপনি যদি একটি আইডির মাধ্যমেও আমাদের সাথে কানেক্ট থাকেন তারপরেও আমরা কোন Cookie বা ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করব না।

তার মানে হল আইডির সাথে কানেক্ট করা যেকোনো ইনফো আইডি ডিলিট করলে রিমুভ হয়ে যাবে। এই সার্চ ইঞ্জিনও Bing এর সার্চ রেজাল্ট ব্যবহার করে। তার মানে প্রাইভেসিকে মেইনটেইন করেও আপনি দারুণ সার্চ রেজাল্ট পাবেন।

Qwant

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Qwant

৩. Peekier

কোন আনসেন্সরড সার্চ ইঞ্জিন যা পারসোনাল ডাটা শেয়ার করে না, সব সময় ইউজারদের কাছে লোভনীয়। আপনি এমন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর সাথে ইতিমধ্যে পরিচিত থাকলে, নতুন আরেকটা আপনার লিস্টে যোগ করতে পারেন। আমরা কথা বলব Peekier নিয়ে। Peekier নতুন একটা প্রাইভেসি ফোকাস ওয়েবসাইট যা জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন DuckDuckGo এর মত কাজ করে। এটিও Bing এর সার্চ রেজাল্ট ব্যবহার করে আনফিল্টার সার্চ রেজাল্ট দেয়।

Peekier এর প্রাইভেসি বৈশিষ্ট্যের কথা যদি বলি, এটি আপনার কোন পারসোনাল ইনফরমেশন সেভ রাখবে না এবং ট্র‍্যাক করবে। ছোট একটি প্রিভিউ কার্ড সহ এটি আপনাকে পরিষ্কার একটি ইউজার ইন্টারফেসে দ্রুত, আনফিল্ডারড সার্চ রেজাল্ট দেবে।

আপনি উপরে ডান পাশ থেকে Hamburger আইকনে ক্লিক করে আপনার সেটিংস ঠিক করে দিতে পারবেন। Peekier আপনাকে সার্চ কিওয়ার্ডের অটো সাজেশন দেবে চাইলে রেজাল্ট আসার পরেও আপনি সেগুলোকে রিফাইন  করতে পারেন। এই সার্চ ইঞ্জিন কখনো আপনার রেজাল্ট ফিল্টার করবে না, তবে Region এর ভিত্তিতে কিছু রেজাল্ট ফিল্টার হতে পারে।

Peekier

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Peekier

৪. SearchTeam

গুগল কখনো হয়তো Collaborate সার্চের কথা ভাবে নি আর ভেবে থাকলে সেটা আমরা পাই নি। এই দিক থেকে আমি এগিয়ে রাখতে পারি SearchTeam কে। SearchTeam নিজেদের, “collaborative search engine” হিসেবে দাবি করে। কনসেপ্টটা ভিন্ন হলেও দারুণ। এই মাধ্যমে আপনি টিম ভিত্তিতে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন এতে যা হবে, যারা এখানে Collaborate থাকবে সবাইকে একই ইনফরমেশন দেখানো হবে। দল ভুক্ত হয়ে কোন প্রজেক্ট করলে এই ধারনাটি দারুণ হতে পারে।

আপনি চাইলে কোন ভেকেশন প্ল্যান অথবা কোন প্রজেক্টে কাজ কয়েকজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা মিলে SearchTeam এর মাধ্যমে করতে পারেন। এই সার্চ ইঞ্জিনের বলতে গেলে একটাই অসুবিধা, সেটা হল এটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন। আপনি এই সার্চ ইঞ্জিনে একই সাথে কাজ করতে ইমেইলের মাধ্যমে বন্ধুদের ইনভাইট করতে পারেন।

SearchTeam

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ SearchTeam

৫. Kiddle

নাম দেখেই হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন এই সার্চ ইঞ্জিন কি ধরনের সার্ভিস দেবে। এটি এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন যা আপনাকে সকল সার্চ রেজাল্ট দেখাবে না। এটি একটা ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি সার্চ ইঞ্জিন। শিশুদের জন্য ব্যবহার উপযোগী এই Kiddle সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটা কাস্টমাইজড ভার্সন। বড় থাম্বনেইল, ইমেজ, ফন্টের সমন্বয়ে তৈরি এই সার্চ ইঞ্জিন সব সময় শিশুদের জন্য উপযুক্ত ওয়েব, ইমেজ এবং ভিডিও সার্চ রেজাল্ট দেখাবে।

আন-ফিল্টার সার্চ ইঞ্জিন কখনোই শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় এমনকি গুগলও উপযুক্ত নয় যদিও গুগলে SafeSearch অপশন রয়েছে। শিশুদের এডাল্ট, ব্ল্যাক মার্কেট সহ আরও অনেক ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখতে এই সার্চ ইঞ্জিনটি কাজ করে।

Kiddle

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Kiddle

৬. JustWatch

আমরা যদি বর্তমানে টিভি বা অন্যান্য বিনোদন মাধ্যম গুলো থেকে অনলাইন স্ট্রিমিং কতটা জনপ্রিয়। আর এই বিষয়টি ভেবেই JustWatch এর উৎপত্তি, বর্তমানে কোন প্ল্যাটফর্মে কোন মুভি সিরিজ স্ট্রিম হচ্ছে সব জানতে পারবেন এটার মাধ্যমে।

আপনি চাইলে আপনার সার্চ রেজাল্ট Genres, IMDb বা Rotten Tomatoes র‍্যাটিং, প্রাইজ, কোয়ালিটি, এবং রিলিজ ইয়ার দিয়ে ফিল্টার করতে পারবেন।

JustWatch

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ JustWatch

৭. Giphy

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া তথা চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে emoji এবং GIF বেশ জনপ্রিয়। আশা করা যায় ভবিষ্যতে এটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে অথবা চ্যাটিং এর ধারনাও পরিবর্তন হতে পারে। তো GIF এবং পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে Giphy সার্চ ইঞ্জিন।

Giphy এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন যেখানে কোন ধরনের রেস্ট্রিকশন নেই সেখানে ইচ্ছে মত ইমুজি সার্চ দিতে পারেন। আমি সাজেস্ট করছি না তবে আপনি সেখানে NSFW সার্চ রেজাল্টও পেতে পারেন।

Giphy

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Giphy

8. Thangs

Google সার্চ এখনো 3D প্রিন্টিং মডেল সার্চের জন্য উপযুক্ত নয়। শুধু মাত্র 3D প্রিন্টিং জন্য সেরা হতে পারে Thangs সার্চ ইঞ্জিনটি। এটি মূলত একটি যারা 3D প্রিন্ট ডিজাইন করে তাদের অনলাইন কমিউনিটি। নিজেদের কাজ অন্যদের সাথে শেয়ার করতে এই সার্চ ইঞ্জিনটি দুর্দান্ত।

Thangs নিজেদের “geometric search engine” হিসেবে দাবি করে। এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট। এটি 3D মডেল চিনতে পারে এবং কিভাবে বিভিন্ন পার্ট যুক্ত করা হয়েছে সেটা বুঝতে পারে তারপর এটি নির্দিষ্ট অবজেক্টের কাজ, খরচ, ম্যাটারিয়াল, পারফরম্যান্স এবং যন্ত্রাংশের ভিত্তিতে সঠিক প্রিডিকশন দিতে পারে।

Thangs

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Thangs

৯. NASA Images

NASA এর এই পর্যন্ত যত অর্জন রয়েছে সেই সংক্রান্ত সকল ছবি এবং তথ্য পাবেন NASA Images নামক আনফিল্টার সার্চ ইঞ্জিনে। NASA Images এ এখন পর্যন্ত ১৪০, ০০০ এর বেশি নাসার ইমেজ, ভিডিও, এবং অডিও ফাইল আপনি খুঁজে পাবেন, রয়েছে বিভিন্ন মিশনের বিস্তারিত ইতিহাস।

যেকোনো সাইন্স লাভার নিঃসন্দেহে এটিকে পছন্দ করতে পারেন। বৃহৎ এই তথ্য ভাণ্ডার আপনি ৬০ টির বেশি লোকেশন থেক এক্সপ্লোর করতে পারেন।

NASA Images

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ NASA Images

১০. SearchCode

যারা ইন্টারনেটে ওপেন সোর্স কোড সার্চ দিতে চান তাদের জন্য রয়েছে SearchCode। SearchCode কোন সার্চ রেজাল্ট ফিল্টার করে না এবং এটি পুরো ইন্টারনেট থেকে ১০ টিরও সোর্স থেকে ৯০ টির বেশি ল্যাংগুয়েজ এর কোড আপনাকে কালেক্ট করে দিতে পারে।

আপনি এই সাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট Source, Repository, অথবা Language এর অধীনে কোড সার্চ করতে পারেন। আপনার সার্চ দেয়া রিলেভ্যান্ট লাইন গুলো হাইলাইট করে দেখাবে এই দারুণ সার্চ ইঞ্জিনটি।

SearchCode

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ SearchCode

11. Ludwig

গুগল ট্রান্সলেট এর বিকল্প হিসেবে ধরতে পারেন Ludwig কে। ট্রান্সলেশন এ সঠিক বাক্য পেতে টি সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ইংরেজি গ্রামার সংক্রান্ত সমস্যাও সমাধান করতে পারেন। ধরুন আপনি ইংরেজিতে একটি বাক্য লিখলেন, এটি সঠিক কিনা জনতে আপনাকে সাহায্য করবে Ludwig। আপনি নির্দিষ্ট বাক্য লিখলে এটি বিভিন্ন সোর্স থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্য খুঁজে দেবে।

Ludwig তার বিশাল ডাটাবেস থেকে The New York Times, PLOS ONE, BBC, এর মত সাইট গুলো থেকে বাক্য তুলে আনবে। আপনি পাবেন নির্ভুল ভাবে ইংরেজি লিখার সুযোগ।

Ludwig

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Ludwig

আমি উপরে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছি, এটি Bing এর সার্চ রেজাল্ট ব্যবহার করে। চলুন এর মানে নিয়ে কথা বলা যাক৷ আমরা জানি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি সার্চ ইঞ্জিন Google এবং Bing। এই দুইটি সার্চ ইঞ্জিন প্রতিদিন কোটি কোটি সার্চ রেজাল্ট তৈরি করে। এই কাজ টি করতে তাদের যে টেকনিক্যাল সক্ষমতা রয়েছে সেটা, Ecosia, Qwant, এর মত ছোট ছোট সার্চ ইঞ্জিন গুলোর নেই। তাই তারা বড় সার্চ ইঞ্জিন গুলো থেকে সার্চ রেজাল্ট কিনে নেয়। গুগল বা Bing উভয় সার্চ ইঞ্জিন থেকে তারা রেজাল্ট কিনতে চায় তবে যেখানে কম খরচে পায় সেখান থেকেই সার্চ রেজাল্ট নেয়।

শেষ কথাঃ

গুগলের সাথে রিপ্লেস হতে এই সার্চ গুলো কাজ করছে না, নির্দিষ্ট বিষয়ে গুগল থেকে ভাল রেজাল্ট দেয়াই তাদের উদ্দেশ্য।

গুগল অধিকাংশ সময় সার্চ রেজাল্ট ফিন্টার করে সুতরাং আন-ফিল্টার সার্চ পেতে এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করছি নির্দিষ্ট কাজের জন্য উপরে আলোচনা করা সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ভাল লাগবে। কেমন হল টিউনটি জানাতে টিউমেন্ট করুন, পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ!

ইউটিউব এ নতুন ও অসাধারণ অভিজ্ঞতা পেতে আল্টিমেট টিপস, হ্যাকস এবং শর্টকাটস

 

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করছি ভাল আছেন সুস্থ আছেন৷ বরাবরের মতই আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। চলুন বেশি কথা না বলে শুরু করি।

আপনি হয়তো প্রতিনিয়ত ইউটিউব ব্যবহার করছেন কিন্তু এমন কিছু ট্রিকস বা শর্টকাট আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানেন না। সেই শর্টকাট গুলো আপনার সময় বাঁচিয়ে দেয়ার পাশাপাশির ইউটিউবে দিতে পারে নতুন অভিজ্ঞতা। তো আপনার অজানা এমন কিছু ট্রিকস নিয়েই আজকে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

ইউটিউব প্লে-ব্যাক শর্টকাট

ইউটিউব এর  সবচেয়ে কাজের এবং দরকারি শর্টকাটটি হল প্লে-ব্যাক কন্ট্রোল শর্টকাট। আমরা অনেকেই জানি যে কিবোর্ডের স্পেস বারে প্রেস করলে ভিডিও Play/Pause হয়। আপনি এই কাজটি কিন্তু K প্রেস করেও করতে পারেন। চলুন আরও কিছু শর্টকাট দেখা যাক।

ভিডিও ৫ সেকেন্ডে ও ১০ সেকেন্ড ফরওয়ার্ড

আপনি ভিডিও চলা কালে যদি Left Arrow তে ক্লিক করেন তাহলে ভিডিওটি পাঁচ সেকেন্ড পিছিয়ে যাবে একই ভাবে Right Arrow তে ক্লিক করলে পাঁচ সেকেন্ড এগিয়ে যাবে। যদি ৫ সেকেন্ডে ১০ সেকেন্ডে পরিণত করতে চান তাহলে J এবং L এ প্রেস করুন।

ভিডিও এর শুরু বা শেষ অংশে শিফট

আপনি যদি ভিডিও এর একবারে শুরুতে চলে যেতে চান তাহলে 0 অথবা Home এ প্রেস করতে পারেন। একই ভাবে 0 থেকে 9 পর্যন্ত সব গুলো বাটনকে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন 1 এ প্রেস করলে একটু এগিয়ে যাবে, 2 প্রেস করলে আরেকটু এগিয়ে যাবে, এভাবে 9 প্রেস করলে ভিডিও এর শেষ দিকে চলে যাবে।

প্লে-ব্যাক স্পিড বৃদ্ধি

এতক্ষণ দেখলাম কিভাবে স্কিপ করবেন, এবার আপনি যদি চান প্লে-ব্যাক স্পিড বাড়িয়ে দেবেন, সেটাও করতে পারবেন। Shift + > অথবা Shift + < এ ক্লিক করে আপনার প্লে-ব্যাক স্পীড 0.25x থেকে 2x. রেঞ্জে বাড়াতে কমাতে পারবেন।

এক ফ্রেম থেকে ভিডিও এর অন্য ফ্রেমে শিফট

আপনি চাইলে ‘.’ অথবা ‘, ’ ব্যবহার করে ভিডিও Pause থাকা কালে এর ফ্রেম থেকে ফ্রেমে শিফট হতে পারবেন। ভিডিও এর প্রতিটি মুহূর্ত স্ক্রিনশট নিতে এই মেথডটি বেশ কার্যকরী।

ভলিউম বাড়ানো বা কমানো

তাছাড়া আপনি চাইলে Up এবং Down Arrow এর মাধ্যমে ভলিউম বাড়াতে কমাতে পারবেন। ৫% করে ভলিউম বাড়বে। Mute এবং Unmute করতে M ব্যবহার করতে পারেন।

ফুল-স্ক্রিন, থিয়েটার এবং মিনি প্লেয়ার মুডে প্লে

যদি ফুল-স্ক্রিনে ভিডিও দেখতে চান তাহলে F এ প্রেস করুন এবং ESC তে ক্লিক করে আগের মুডে ফিরে আসতে পারবেন। ছোট প্লেয়ারে ভিডিও প্লে করতে I এ ক্লিক করুন এবং পুনরায় I ক্লিক করে ভিডিও পেজে ফিরে যান। Theater Mode এ ভিডিও প্লে করতে T তে প্রেস করুন।

ক্যাপশন এনেভল

এখানেই শেষ নয় আরও আছে, Caption অন অফ করতে C প্রেস করুন, ক্যাপশন ব্যাকগ্রাউন্ড কালার চেঞ্জ করতে Settings>Subtitles>options>Background Color এ চলে যান।  প্লেলিস্ট এর পূর্ববর্তী ভিডিওতে যেতে SHIFT + p পরবর্তীতে ভিডিওতে যেতে SHIFT + n এ ক্লিক করুন।

কিছু প্রয়োজনীয় সার্চ কমান্ড

চলুন আরও কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস দেখে নেয়া যাক যার মাধ্যমে আরও চমৎকার ভাবে পুরো ইউটিউব ওয়েবসাইটটিকে ন্যাভিগেট করতে পারবেন। চলুন সার্চের ক্ষেত্রে কিছু কমান্ড দেখি।

সরাসরি সার্চ বারে সার্চ

আপনি যদি ইতিমধ্যে ইউটিউবে থাকেন তাহলে / প্রেস করুন দেখবেন সার্চ বারে চলে গেছে। ইউটিউব নেই? URL এ YouTube.com লিখে TAB এ প্রেস করুন, দেখবেন সরাসরি সার্চ এর অপশন চলে এসেছে।

Run কমান্ড ব্যবহার করে সার্চ

আপনি চাইলে ডেক্সটপ থেকেও সার্চ দিতে পারেন, Windows Key+R এ প্রেস করুন এবং chrome youtube.com/results?search_query=SEARCH কমান্ডটি লিখুন। Search এর জায়গায় আপনার পছন্দের কিওয়ার্ড লিখুন এবং Enter দিন। দেখবেন সরাসরি ক্রোমে ইউটিউব ওপেন হয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড সার্চ হয়ে গেছে।

আপনি যদি ক্রোম ছাড়া অন্য ব্রাউজার ব্যবহার করেন তাহলে Chrome এর জায়গায় 'firefox’, ‘iexplore’, or ‘microsoft-edge’ রিপ্লেস করে দিন।

ফিল্টারিং সার্চ

আপনি সার্চের ক্ষেত্রে  '+’ অথবা ‘-‘ দিয়ে সার্চ রেজাল্ট ফিল্টারও করতে পারেন। যেমন আপনি Smart Phone  লিখে সার্চ করবেন, আপনি চান না Samsung বিষয়ে কিছু আসুক। তাহলে এভাবে লিখবেন,

Smart Phone -samsung

দেখুন দুইভাবেই সার্চ দিলাম এবং ফলাফল গুলো আলাদা ভাবে দেখাচ্ছে৷

আবার চাইলে কোন ভিডিও এর নির্দিষ্ট সময় ও বিষয়ও নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। যেমন আপনি কোথাও বেড়াতে যাবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের ভিডিও দেখবেন সেক্ষেত্রে লিখতে পারেন।

sajek valley drone view "april" এর মানে যে ভিডিও গুলো আসবে সব গুলোই এপ্রিল মাসের।

আরও কিছু হিডেন ট্রিকস

এবার আমরা ইউটিউবের ম্যানুতে থাকা বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে জানব। ধরুন আপনি একটি ভিডিও দেখার সকালে হটাৎ করে ট্যাবটা ক্লোজ হয়ে গেল কিন্তু ভিডিওটি দেখতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে History অপশনটি।

হিস্ট্রি ব্যবহার করে আগে ভিডিও দেখা

আপনি হোমপেজ এর বামপাশ থেকে History তে ক্লিক করে আগের ভিডিও গুলো দেখে ফেলতে পারেন। আবার বিভিন্ন ডিভাইসে মুভ করলেও এই ফিচারটি আপনার কাজে আসতে পারে।

তবে এই ফিচারটি ব্যবহার করতে আগে নিশ্চিত হোন Turn on watch history অপশনটি এনেভল করা আছে কিনা। অপশনটি ডিজেবল থাকলে আপনার কোন ভিডিও হিস্ট্রি কিন্তু রেকর্ড হবে না।

আরেকটি টিপস ফলো করতে পারেন, আপনি যদি দীর্ঘ সময় কোন ভিডিও সেভ রাখতে চান তাহলে সে সব ভিডিও তে Comment করে রাখতে পারেন পরবর্তী টিউমেন্ট হিস্ট্রিতে গিয়ে সেগুলো সহজেই খুঁজে বের করতে পারেন।

ডার্ক মুড এনেভল করা

দীর্ঘ সময় ভিডিও দেখে আপনার চোখের ক্ষতি করছেন না তো? চোখের উপর থেকে চাপ কমাতে ব্যবহার করুন ইউটিউব এর ডার্কমুড। হোমপেজের উপরের আপনার প্রোফাইলের উপর ক্লিক করুন ড্রপ ডাউন ম্যানু থেকে Appearance > Dark Theme সিলেক্ট করুন।

শেষ কথাঃ

আমরা ইউটিউব সব সময় ব্যবহার করলেও হয়তো এই টিপস গুলো জানি না। এই টিপস গুলো একই সাথে যেমন আপনার সময় বাঁচিয়ে দেবে তেমনি ইউটিউব ভিডিও দেখায় নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন।

আশা করছি এই টিউনটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে, টিউমেন্টের মাধ্যমে জানান কোন শর্টকাটটি আপনার বেশি ভাল লেগেছে। পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

ফ্রিল্যান্সিং করার আগে যা জানা প্রয়োজন

 

ফ্রিল্যান্সিং হলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে স্মার্ট বিজনেস। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ পরিবার আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। কিন্তু আপনি কি জানেন ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে কি কি বিষয় জানতে হবে?

এই আর্টিকেলটি তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন শেয়ার করতে যাচ্ছি। নতুনদের জন্য আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুরুতেই জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মানেই হলো মুক্ত পেশা। আপনি যদি ঘরে বসেই ইনকাম করতে চান তবে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার একটি অনলাইন চাকরি।

ফ্রিল্যান্সিং যে কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ করতে পারে। বর্তমান সমাজের উদিয়মান যুবক যুবতীদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ খুব বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। এটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

আপনার যদি স্কিল থাকে, তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের অভাব হবে না। আর কাজ করতে পারলে অর্থেরও অভাব হবে না। তবে এখানে ধৈয্যের সাথে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো যতই সহজ হোক না কেন, প্রথমত নিজেকে সবার থেকে আলাদা করতে একটু বেশি পরিশ্রম দিতে হবে। আপনাকে এমন কাজ শিখতে হবে যে কাজ কম্পিউটারে করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং করার আগে যা জানা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে অনেক কিছুই জানতে হবে। নাহয় ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনি যে কোন সময় এই সেক্টর থেকে ঝরে যেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়, কোন কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে বেশী, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেপ্লেস নির্বাচন সহ আরো বিভিন্ন বিষয় জানা নতুনদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

(১) ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে রিকমেন্ডেড বিষয় হলো স্কিল। কম্পিউটারে করা যায় এমন যে কোন কাজের উপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাজার হাজার ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়।

তবে আপনি চেষ্টা করবেন, কোন মেজর ক্যাটাগরির কাজ শেখার জন্য। মেজর ক্যাটাগরি বলতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

এই ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে অনেক সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাব ক্যাটাগরি যেমন: ফটো এডিটিং, ইনফো গ্রাফিক, মোশন গ্রাফিক ইত্যাদি।

আপনি যদি কোন সাব ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করেন, তবে কাজের পরিমাণটা সীমিত হয়ে আসবে। আবার যদি কোন মেজর ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারেন, তবে আপনি কাঙ্খিত ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।

(২) কাজ শেখার পর সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে একটি বড় ভুল করে, তা হলো সঠিক মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করতে পারে না।

অচেনা এবং অজানা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করে দেয়। এটা নিত্যান্তই একটি ভুল। আপনি যেই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা উচিত।

বিশেষ করে কাঙ্খিত সেই মার্কেটপ্লেসটি ট্রাস্টেড কিনা, তাদের পেমেন্ট সিস্টেম কি, কত বছর ধরে তারা সার্ভিস দিচ্ছে এই সমস্ত বিষয় আপনাকে জানতেই হবে।

নতুনরা অনেক সময় ভুল মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করে। ফলে এমনও হয় যে, কাজ পায় না, আবার কাজ পেলেও কাজ শেষে পেমেন্ট পায় না। এই ধরনের আরো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নেওয়া আবশ্যক।

(৩) খুব বেশী ক্যাটাগরির কাজ একসাথে করাটাও উচিত না। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গ্রোগ্রামিং একসাথে করতে যান তবে দেখবেন যে সার্ভিস দিতে গিয়ে এলোমেলো মনোভাব চলে আসবে।

তবে হ্যাঁ, আপনার যদি একাধিক বিষয়ের স্কিল থাকে, তবে দুটি মার্কেটপ্লেস একসাথে টার্গেট করতে পারেন। মনে করুন, Fiverr মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর একাউন্ট খুললেন আর Upwork মার্কেটপ্লেসে প্রোগ্রামিং সার্ভিসের উপর একাউন্ট খুললেন।

ইচ্ছে করলে এভাবে কাজ করতে পারেন। তবে একসাথে একাধিক স্কিলে কাজ করা উচিত মনে করি না। এটা আমার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স।

তবে আপনি যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তবে আপনার ওয়েবসাইটে একসাথে বিভিন্ন সার্ভিসের অফার করতে পারবেন। এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

ফিল্যান্সিং করার যা যা প্রয়োজন হবে

(১) ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথম রিকমেন্ডেড বিষয় হলো আপনার স্কিল। আপনাকে এমন একটি বিষয়ের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে যেটার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

হতে পারে সেটা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, এসইও বা ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

(২) ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে। অনেকেই প্রশ্ন করেন মোবাইলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? এই প্রশ্নের সাধারণ উত্তর করা যায়। তবে আপনি যদি প্রফেশনালি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তবে ফ্রিল্যান্সিংকে মোবাইলে টার্গেট করা উচিত হবে না।

আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তবে অনেক সহজ ভাবেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন।

(৩) ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কাঙ্খিত ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ এর প্রয়োজন হবে। ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু ইন্টারনেটে ভিত্তিক কাজ। তাই ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই লাগবে।

এই তিনটি বিষয় যদি আপনার থাকে তবে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি রেডি। চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আজ থেকেই শুরু করতে পারবেন।

নুতন অবস্থায় যদিও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা অনেক কঠিন মনে হয়। তবে আপনি যদি সফল কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারকে ফলো করেন, তবে সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। এদেশের বেশিরভার মানুষ কৃষিকাজ করে। জনসংখ্যা অনুযায়ী এদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের খুব অভাব। তাই ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে শিক্ষিত মানুষের বেকারত্ব রোধের চমৎকার একটি পথ।

প্রিয় পাঠক, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে যেই বিষয় গুলো উপস্থাপন করেছি, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার আগে এই বিষয়গুলো ভালো ভাবে ফলো করেন, তবে আশা করা যায় আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই টিউমেন্ট করবেন। আর হ্যাঁ, আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তবে টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না। সবাইকেই ধন্যবাদ।

 

সেরা ইউটিউব চ্যানেল ও ভিডিও খুঁজে পাবার ৪ টি দুর্দান্ত মেথড

 

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করছি ভাল আছেন সুস্থ আছেন৷ বরাবরের মতই আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আলোচনা করব সহজ ভাবে ইউটিউব ব্যবহারের সেরা কিছু টিপস নিয়ে।

কোন কিছু জানা ও শেখার কাজে ইউটিউব চমৎকার এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে পাওয়াটাই হচ্ছে ঝামেলা। স্বাভাবিক ভাবেই নাম না জানলে আপনার জন্য সঠিক চ্যানেল খোঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। যদিও ইউটিউবে রেকোমেন্ডেশন নামে একটা ফিচার আছে যেখানে আগ্রহ অনুযায়ী ভিডিও দেখায় তবে সেটা সব সময় কাজে আসে না। বেশির ভাগ সময় ইউটিউবে একই  টপিকের উপর ভিডিও আসে। যেমন আপনি একই সাথে গিটার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, SEO নিয়ে ভিডিও দেখেন, সেক্ষেত্রে এই তিন ক্যাটাগরিতে আপনি পর্যাপ্ত ভিডিও সাজেশন পাবেন না এটাই স্বাভাবিক। যদি আপনাকে গিটার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, SEO এই টপিকের উপর সেরা ভিডিও এবং চ্যানেল গুলোর সাজেশন দেয়া হয়, তাহলে কেমন হবে? অবশ্যই ভাল! আর এটা নিয়ে আজকে কথা হবে, আমরা এখন দেখব কিভাবে আপনি আপনার জন্য সেরা ইউটিউব চ্যানেল ও ভিডিও গুলো খুঁজে পাবেন।

১. YouTube Trends

ইউটিউবের এই ডেডিকেটেড পেজটিতে সারাদিনের ট্রেন্ডিং টপিকের ভিডিও শো করে। এটি ১৫ মিনিট পর পর আপডেট হয়। সম সাময়িক বিষয় গুলোর উপর আপনি এখানে ভিডিও পেতে পারেন কিন্তু এটা আপনার রুচি অনুযায়ী ভিডিও সাজেস্ট করবে না।

ইউটিউব বলে, এই পেজটি লোকেশন অনুযায়ী অসংখ্য ক্যাটাগরিতে আলোচিত এবং জনপ্রিয় বিষয় গুলোর উপর করা ভিডিও শো করবে। এটা কোন পারসোনালাইজড সাজেশন নয়, আশেপাশে কি ঘটছে সেটাই জানতে সাহায্য করবে এটি। বামপাশে আপনি Music, Gaming, Sports, News, এর মত কিছু ক্যাটাগরিও পেয়ে যাবেন যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভিডিও প্লে করতে পারবেন।

এটা গেলো ইউটিউবের ডিফল্ট ফিচার এবার আপনি যদি স্পেসিফিক কোন টপিকের উপর ভিডিও চান তাহলে নিচের মেথড গুলো ফলো করুন,

২. Channels Stack

আপনি কি ইউটিউবে এডুকেশনাল ভিডিও খুঁজছেন? তাহলে Channels Stack আপনার কাজে আসতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি নিজের চাহিদা মত ভিডিও এবং চ্যানেল খুঁজে বের করতে পারেন। পেতে পারেন উপযুক্ত চ্যানেলের সাজেশন।

দারুণ এই Channels Stack সাইটে আপনি কোডিং, গিটার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ক্রাফট সহ আরও অনেক শিক্ষণীয় বিষয়ের উপর চ্যানেলের সাজেশন পাবেন।

এই প্রজেক্টটি তৈরি করেছে Alexander Olssen, এখন পর্যন্ত এখানে আপনি Creative, Technology, Business, এবং Lifestyle নামের ক্যাটাগরি থেকে আপনার জন্য সেরা ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করতে পারবেন।

Channels Stack

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Channels Stack

৩. Walnut TV

ইউটিউব রিকোমেন্ডেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া রেকোমেন্ডেশন এর কম্বিনেশন কতটা চমৎকার হতে পারে এটা প্রমাণ করেছে Walnut TV। Walnut TV একই সাথে ইউটিউব এবং Reddit এর সাজেশনের সমন্বয়ে দারুণ সব ভিডিও উপহার দিতে পারে। Walnut TV এর দারুণ ইন্টারফেসে আপনি বামপাশে পাবেন প্লেলিস্ট স্ক্রুলিং এর ব্যবস্থা এবং মাঝখানে ভিডিও প্লেয়ার।

Walnut আপনাকে গত ২৪ ঘণ্টার সেরা ভিডিও গুলো দেখাবে যেগুলো Reddit এর এলগোরিদম এর মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। আপনি চাইলেই Science, Documentaries, Music, Food, Crafts, ক্যাটাগরিতে ভিডিও দেখতে পারেন।

Walnut TV

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Walnut TV

৪. PocketTube

PocketTube একটি সাবস্ক্রাইভ ম্যানেজার এবং আপনার ইউটিউব ভিডিও অর্গানাইজিং টুল। এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউবের ভিডিও গুলো সাজানো গুছানো আকারে পাবেন। এটি একই সাথে Chrome, Firefox, Android এবং iOS অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে।

PocketTube ব্রাউজারে ইন্সটল দিয়ে ইউটিউবে ঢুকলে আপনি অতিরিক্ত কিছু ফিচার পাবেন যেগুলো আপনার ইউটিউব অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে। যেমন উপরে ডানপাশের ট্যাগ আইকনে ক্লিক করে আপনি নির্দিষ্ট ট্যাগে ভিডিও গুলো দেখতে পারবেন। এটি আপনার প্লে-লিস্টকে নতুন ভাবে সাজাতে সাহায্য করবে।

এই টুলের আরেকটি চমৎকার সুবিধা হল, এখানে আপনার সাবস্ক্রাইভ করা চ্যানেল গুলো আলাদা আলাদা ফোল্ডারে সাঁঝাতে পারবেন। ফোল্ডার গুলো বামপাশে Subscription Groups এ থাকবে। আপনি চাইলে ফোল্ডার গুলোর ল্যাআউট এবং আইকনও চেঞ্জ করতে পারবেন।

PocketTube

অ্যাপ ডাউনলোড লিংক @ iOS Android

এক্সটেনশন লিংক @ Chrome Firefox

শেষ কথা

ইউটিউবের রেকোমেন্ডেড ভিডিও গুলো অনেকের কাছেই ভাল লাগে না। বিরক্তিকর আরেকটা বিষয় হচ্ছে হটাৎ প্রয়োজনে কোন টপিকের উপর ভিডিও দেখলে পরবর্তীতে এই ধরনের সাজেশনই আসতে থাকে। যারা ইউটিউবের এলগোরিদম নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাদের কাছে উপরের ওয়েবঅ্যাপ বা টুল গুলো দারুণ লাগতে পারে।

তো কেমন হল আজকের টিউন জানাতে ভুলবেন না। কোন টুলটি আপনার কাছে বেশি ভাল লেগেছে সেটা টিউমেন্টের মাধ্যমে জানান। তো আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ!

কিভাবে ইথারনেট কেবলের মাধ্যমে ডেক্সটপ বা ল্যাপটপের সাথে ইন্টারনেট কানেক্ট করা হয়?

 

আপনি কী আপনার ওয়াইফাই সিগনাল ভালোভাবে পাচ্ছেন না? হয়ত আপনার রাউটারটি আপনার ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে বা মাঝখানে কোন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। হ্যাঁ, আপনার এই সমস্যাটি দূর করার জন্য রয়েছে দারুণ ব্যবস্থা। আসুন জেনে নেই কীভাবে আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারি।

আমরা জানি যে আজকালের রাউটারগুলি wireless and ethernet উভয় সাপোর্ট করে। ফলে আপনি যদি wifi সিগনাল ভালোভাবে না পান তাহলে আপনি দুটি উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

প্রথমত, আপনি সরাসরি ইথারনেট ক্যাবলটির একপ্রান্ত রাউটারের পেছেনে সরাসরি ডুকিয়ে দিন এবং অন্য একটি প্রান্ত আপনার কাঙ্ক্ষিত ডেক্সটপ বা ল্যাপটপের সাথে লাগিয়ে দিন। এভাবে সংযুক্ত করলে আপনি সরাসরি router থেকে ভালো স্পিড পেয়ে যাবেন।

কিন্তু আপনার এই সমস্যা যদি একাধিক ডিভাইসে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে বিকল্প চিন্তা হিসাবে দ্বিতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কারন একটি রাউটারের পেছনে অনেকগুলি পোর্ট আপনি পাবেন না। হয়ত দুইটা, তিনটা বা চারটা লাইন এভাবে আপনি চালাতে পারবেন। এর বেশি লাইন চালানোর জন্য আসুন আমরা দেখে নেই কীভাবে এটা সম্ভব।

দ্বিতীয় পদ্ধতি হিসেবে অনেকগুলো ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবেন। তাই আপনাকে বাড়তি একটি যন্ত্র কিনতে হবে। এই যন্ত্রটি হলো Access Point যার অনেকগুলো পোর্ট আছে যেখান থেকে আপনি অনেকগুলো ডিভাইসে নেট কানেক্ট করতে পারবেন। এই নেটওয়ার্ক ডিভাইসটি আপনার রাউটারের সাথে যুক্ত রাখবেন। এবং সেখান থেকে আপনি ইথারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিত ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে কানেক্ট করে নিতে পারবেন।

উপরুক্ত এই দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আগের তুলনায় ভালো নেট কানেকশন পেতে পারেন। বাসা বাড়ির জন্য একটি রাউটারই যথেষ্ঠ। শুধুমাত্র আপনি ইথারনেট ক্যাবলটি যুক্ত করেই আপনার নেটের গতি বাড়াতে পারেন। আপনার অতিরিক্ত খরচ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অফিস আদালতের জন্য বা ছোট ব্যবসার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই  Access Point কেনা প্রয়োজন হবে।

তবে আপনি যদি ছোট্ট পরিসরে ব্যবসা করে থাকেন, তাহলে কয়েকটি ডিভাইস wifi এর মাধ্যমে কানেক্ট রাখুন আর খুব বেশি দূরের বা অল্প সিগনাল যুক্ত ডিভাইসগুলিকে এই ইথারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারেন। এতে আপনার খরচ বাঁচবে। আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ সেটা হলো আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি আপনার router এর band নির্বাচন করা যাতে ওয়াইফাই সিগনাল সকল জায়গায় ঠিকমত পৌছায়।

মোবাইল দিয়ে নিজের নামের রিংটোন তৈরি করুন

 

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। আশাকরি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে আরও একটি নতুন আটিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদেরকে শেখাবো আপনাদের হাতে থাকা ছোট্ট মোবাইলটি দিয়ে কিভাবে আপনারা নিজেদের নামের রিংটোন তৈরি করবেন।

 

 

প্রথমে আপনারা চলে যাবেন fdmr  party নামের একটি ওয়েবসাইটে। https://fdmr.party/name-ringtone-maker.php এই ওয়েবসাইটে।

 

 

তারপর সেখানে আপনারা দেখতে পাবেন সেখানে ভাষা সিলেক্ট করতে হবে। যে ভাষা পছন্দ বাংলা, ইংরেজি বা হিন্দি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। এরপর সেখানে আপনাদের নাম সিলেক্ট করে দিবেন এবং ব্যাকগ্রাউনড রিংটোন সিলেক্ট করবেন। নিচের কিছু অপশন থাকবে যেখানে আমরা সিলেক্ট করে দিতে হবে যে আপনারা আপনাদের নামের পরে কি শুনতে চান। সেটি সিলেক্ট করে দেওয়ার পরে নিচে শেয়ার অপশনে দিলে আপনাদের রিংটোন সেভ হয়ে যাবে।

 

 

এভাবে আপনারা খুব সহজে আপনাদের হাতে থাকা ছোট্ট মোবাইল দিয়ে সাহায্যে আপনাদের নিজেদের নামের রিংটোন সেভ করতে পারবেন।

 

 

আমার আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্ত ছিল। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। খোদা হাফেজ।

ফেসবুক পেইজ খুলে বুস্ট করলেই কি অনলাইন বিজনেজ শুরু হয়ে যায়?

 

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক বুস্ট একটি বহুল আলোচিত শব্দ। জেনে হোক আর না জেনে হোক যারা নতুন ব্যবসা শুরু করে তারা সবাই কমবেশি বুস্ট করে থাকেন।

 

আজ আমি ফেসবুক বুস্ট নিয়ে রিয়েল লাইফ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।

পেইজ ওপেন করলাম, বুস্ট করলাম! শুরু হয়ে গেল অনলাইন বিজনেস! এবার বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কিছু ফেসবুক পেইজ ওনার আমাকে যা বলেন…

  • ভাই ৫ ডলার বুস্ট করলে কত রিচ হবে?
  • পেইজের জন্য কোনটা ভাল হবে প্রমোট নাকি বুস্ট?
  • ১৮-৫০ বছর টার্গেট করে বুস্ট করবেন।
  • ৫ ডলার ২ দিন বুস্ট করেন।
  • অ্যাড ম্যানেজার থেকে ক্যাম্পেইন করলে বলে ভাইয়া বুস্ট ডিটেইলস দেখতে পারছিনা, বুস্ট অপশন থেকে করেন।
  • মেসেজ অপশনে বুস্ট করলে বলে টিউনে তো লাইক আসে না/ রিচও কম।
  • ১ ডলার বুস্ট করে দেখি রেসপন্স কেমন আসে। ভাল আসলে পরে আরও বেশী করে করবো।
  • ১০০০ লাইক কত টাকা?
  • অনেকে তো ডলার রেট ৭০/৮০ টাকা করে নেয় আপনি বেশী চান কেন?

🙂 আমি আর পেইজ ওনার এর কথোপকথন!
🔷 আমি: আপনার পেইজে তো মাত্র ১০০ লাইক বুস্ট না করাই ভাল।
🔶 পেইজ ওনার: করেন ভাইয়া সমস্যা নাই।
🔷 আমি: ছবিগুলো ভাল হয় নাই। বুস্ট করলে রেসপন্স আসবে না।
🔶 পেইজ ওনার: করেন ভাইয়া, দেখি কি হয়?
🔷 আমি: টিউন ডিটেইলস ভাল করে সাজিয়ে লিখুন।
🔶 পেইজ ওনার: আচ্ছা ভাইয়া এডিট করতেছি
🔷 আমি: কিছু পেইজ ভাল করে দেখুন। সময় নেন। আপনার পেইজটাও ভাল করে সাজান। ভেবে-চিন্তে বুস্ট করুন।
🔶 পেইজ ওনার: আচ্ছা ভাইয়া।

বুস্ট করলে অনেক সময় অর্ডার আসে, আবার অনেক সময় আসে না।
(এটাই বাস্তবতা। কারন অনেক সময় ১০০ টা মেসেজ ২টা অর্ডার, আবার অনেক সময় ১০ টা মেসেজ কিন্তু ৫ টা অর্ডার)
ভাল রেসপন্স/ অর্ডার কি আসবে এভাবে?

🔷 অনেক পেইজে তো ভাল ১০ টা পোস্টই থাকে না। আবার অনেক পেইজের
🔷 সেটআপ (পন্য/সেবা রিলেটেড কভার পিক, প্রফাইল পিক, ক্যাটাগরি, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, বিজনেস ডিটেইলস) আপডেট থাকে না।

🔷 অনেকে স্ক্রিনশট নিয়ে এডিট না করে সেই পিক টিউন করে বুস্ট করতে বলেন।

🔷 অর্ডার করতে ইনবক্স করুন। শুধু এটুকু লিখে টিউন করে।
🔷 অনেকে এত বেশী শেয়ার করেন যে পেইজ রেসট্রেক্টেড হয়ে যায়
🔷 অনেক পেইজের টিউন ইমেজে ৫০% লেখা থাকে।
🔷 পেইজ/টিউনের ছবিতে অন্য পেইজের নাম লেখা থাকে।
🔷 ক্রিয়েটিভ কনটেন্টে/ইমেজ খুব কম পেইজেই থাকে।

কোন রকম পেইজ সাজিয়ে কোন রকম বুস্ট করলেই ভাল রেসপন্স আশা করা যায় না।

পরামর্শ:

  • আগে পেইজটা ভাল করে সাজান।
  • ভাল মানের ছবি/ ক্রিয়েটিভ ছবি ব্যবহার করেন।
  • টিউন ডিটেইলস/কনটেন্ট ভাল করে সাজিয়ে লিখুন।
  • বুস্ট/প্রমোট সম্পর্কে ভাল করে জানার চেষ্টা করুন।
  • আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
  • সম্ভব হলে পিক্সেল সেটআপ করে রি-টার্গেটিং করুন।
  • সব সময় অ্যাড ম্যানেজার থেকে বুস্ট রান করার চেষ্টা করুন।
  • মিনিমাম চার দিনের জন্য বুস্ট করবেন।
  • ডলার রেট/কারেন্সি সম্পর্কে জানুন।
  • সামান্য চেষ্টা করলে গুগল থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
সবকিছু ভাল করলেই কি ভাল রেসপন্স আসবে?
আসবে, বেশী না আসলেও কম আসবে। অন্য ৫ টা পেইজে ভাল রেসপন্স আসলে আপনার পেইজেও আসবে।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।