Payza,পেজা অন্যতম অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি।এখানে পেজা একাউন্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে।
একাউন্ট খোলার নিয়ম:
- পেজার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন,’Sign-up now‘ বাটনে ক্লিক করুন
- একাউন্ট টাইপ সিলেক্ট করুন।(Personal Pro ভালো কারণ Personal Starter এ মাসে ৪০০ ডলার ও বছরে ২০০০ ডলারের বেশি লেনদেন করা যায় না।Personal Pro তে টাকা রিসিভ করতে প্রতি ট্রানজেকশন এ ফি হল ২.৫%+$০.২৫ ডলার আর Personal Starter এ রিসিভ করতে কোন ফি নেই।যে কোন সময়ে একাউন্ট টাইপ পরিবর্তন করা যায়)
- পরবর্তীতে সাইন আপ ফরম আসবে দুটি ধাপে।সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমদুটি পূরণ করুন।(ইমেইলে পাবলিক ইমেইলের পরিবর্তে একটি নতুন ইমেইল দিলে ভাল হয়।তাহলে একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই)একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক ইমেইল এড্রেসে পাঠানো হবে।লিঙ্কটিতে ক্লিক করে একাউন্ট কনফার্ম করুন।
একাউন্ট খোলা ও কিভাবে Bkash একাউন্ট যোগ করবেন দেখুন
পেজা একাউন্ট নম্বর: যে ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করবেন সেটি পেজা একাউন্ট নম্বর।
ডিপোজিট:
অনেক সময় অনলাইনে কোন সাইটে পেমেন্ট(পন্য ক্রয়,আপগ্রেড,ইনভেস্ট etc) দিতে পেজাতে ডিপোজিট করতে হয়।কেডিট কার্ড(মাস্টার ও ভিসা),ব্যাংক ট্রান্সফার,ব্যাংক ওয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে ডিপোজিট করা যায়।কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ডিপোজিট করা যায় না।আর কেডিট কার্ড কজনেরই বা আছে।তবে কেডিট কার্ড থাকলে খুব সহজেই ডিপোজিট করা যায়।যাই হোক হতাশ হবার কিছুই নেই।বর্তমানে ফেসবুকে অনেক গ্রুপ বা পেজ আছে যেখানে ডলার বেচা কেনা হয়।সেখান থেকে ডলার কিনে নিয়ে ডিপোজিট করতে পারবেন।ফেসবুকে সার্চ দিলেই এ রকম গ্রুপ পাওয়া যাবে।Payza একাউন্ট ভেরিফাই:
পেজা থেকে সকল সুবিধা পেতে একাউন্টটি ভেরিফাই করতে হবে।ভেরিফাই করতে-- একাউন্টে লগ ইন করুন
- Profile এ ক্লিক করুন
- Account Verification সিলেক্ট করুন।এখানে দুটি অপশন থাকবে।যেকোন একটির মাধ্যমে ভেরিফাই করা যাবে।
- Option A-Document Validation Option :এ এখন কিভাবে Payza একাউন্ট ভেরিফিকেশন করবেন:
Document Validation পদ্ধতি ব্যাবহার করে একাউন্ট ভেরিফাই করতে গেলে যা যা লাগবে :
আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি।
আপনার এক মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ( সর্বচ্চো ছয় মাসের পুরোনো )
আর আপনি যদি Photo ID Validation পদ্ধতি ব্যাবহার করে একাউন্ট ভেরিফাই করতে চাই তাহলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সাথে পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার হবে।
উল্লেখ্য যে Photo ID Validation পদ্ধতিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কোনো প্রয়োজন নেই।
চলুন দেখা যাক কিভাবে ভেরিফাই করবেন আপনার পেজ একাউন্ট :
আপনার পেজা একাউন্টে লগইন করে উপরে ডান দিকে Verification এ ক্লিক করুন
এখান থেকে আপনার পছন্দের অপশনটি বেছে নিন।
আমি Document Validation অপশনটি বেছে নিলাম।
Photo ID অপশন থেকে যেকোনো একটি অপশন বেছে নিন এবং Choose File থেকে আপনার ডকুমেন্টের স্ক্যান কপিটি সিলেক্ট করুন।
এবার তার নিচে Bank Document এর নিচে Bank Statementএ টিক চিহ্ন দিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপিটি সিলেক্ট করে দিন।
সবকিছু ঠিক থাকলে Next চাপুন।
আপনার আপলোড করা ডকুমেন্টের প্রিভিউ দেখতে পাবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে সেন্ড অপশনে ক্লিক করে আপনার রিকোয়েস্টটি সেন্ড করুন।
এবার দেখা যাক কিভাবে Photo ID Validation পদ্ধতিতে ভেরিফাই করবেন :
আবার Verification এ গিয়ে Photo ID Validation অপশন সিলেক্ট করুন।
নিচের মত পেজ পাবেন।
Photo ID থেকে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড , পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপিটি সিলেক্ট করে Next চাপুন।
আপনার আপলোড করা ডকুমেন্টের প্রিভিউ দেখতে পাবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে Send অপশনে ক্লিক করে রিকোয়েস্ট সেন্ড করুন।
ভেরিফিকেশন রিকোয়েস্ট দেবার 2-3 দিনের মাঝেই পেজা থেকে রিপ্লাই পাবেন।
পনার আপলোড করা ডকুমেন্ট যদি সঠিক হয় তাহলে পেজা আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে দেবে।
তবে যদি আপনার ভেরিফিকেশন রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা না হয় তাহলে পেজা থেকে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে কি কারনে আপনার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট কয়ার সম্ভব হয়নি।
একাউন্ট ভেরিফাই করার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না হবার কিছু কারন :
আপনার সাবমিট করা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি অস্পষ্ট হলে।
আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেয়া নাম বা ঠিকানার সাথে যদি আপনার পেজা একাউন্টের নাম বা ঠিকানা না মেলে।
আপনার সাবমিট করা ডকুমেন্ট ব্রোকেন হলে। - Option B-Photo ID Validation :এখানে দুটি ভিন্ন রকমের ফটো আইডির স্কান কপি আপলোড করতে হবে।ন্যাশনাল আইডি,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স এই তিনটির যেকোন দুটির স্কান কপি আপলোড করতে হবে।মনে রাখবেন,একাউন্ট ভেরিফাই না হলে পেজা কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় আপনার একাউন্ট লিমিট বা লক করে দিতে পারে।
পেজা একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে যেভাবে টাকা পাঠাবেন:
Send Funds অপশনে ক্লিক করুন।এরপর যাকে পাঠাতে চান তার পেজা ইমেইল,টাকার পরিমাণ,কোন কারেন্সিতে পাঠাতে চান ইত্যাদি লিখে ট্রানজেকশন পিন দিয়ে কনফার্ম করুন।টাকা পাঠানোর সাথে সাথে একটি ইমেইলও পাবেন।টাকা উঠান (Withdraw) :
বাংলাদেশ থেকে পেজার টাকা ব্যাংক ট্রান্সফার বা ওয়ার এবং Payza Prepaid Card (visa) এর মাধ্যমে উঠান যায়।যখন টাকা জমা হবে তখন তা উঠাত-- Payza একাউন্টে লগ ইন করুন
- Withdraw Funds অপশনে ক্লিক করুন।
- Bank Transfer :এই প্রক্রিয়াটি সহজ।খরচ পড়বে ২৪০ টাকা।টাকা ব্যাংকের একাউন্টে যুক্ত হতে ৬ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে।
- Bank Wire :এই প্রক্রিয়ায় খরচ সবচেয়ে বেশি ১৫ ডলার।
- Payza Prepaid Card :পেজা প্রিপেইড কার্ডের(ভিসা)
মাধ্যমে যেসব এটিএম বুথে ভিসা,মাস্টারকার্ড সাপোর্ট করে সেখান থেকে টাকা
উঠাতে পারবেন।এজন্য আপনাকে প্রিপেইড কার্ডের অর্ডার দিতে হবে।এজন্য অবশ্যই
একাউন্ট ভেরিফাই হতে হবে।এছাড়া আপনার এড্রেসও ভেরিফাই করতে হবে।কার্ড পেতে
সব্বোর্চ ৬০ দিন সময় লাগতে পারে ও ফি ১৯.৯৫ ডলার যা একবার লাগবে।
মাএ ১০ ডলার হলেই কার্ডের মাধ্যমে উইথড্র করা যায় এবং ফি ১ ডলার।
Payza To Bkash ও BkashToPayza
- কিছুদিনের মাঝেই হয়ত আপনার পেইজা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আপনার bKash অ্যাকাউন্ট এ ট্রান্সফার করতে পারবেন।
এখন দেখাবো কিভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পেইজা তে টাকা যোগ করতে পারবেন।নিচের চিত্রগুলো দেখলেই বুজতে পারবেন। প্রথমে add fund এ ক্লিক করুন, তারপর bKash লেখার উপর ক্লিক করুন।
এখন নিচের চিত্রটি খেয়াল করুনঃ
আপনার মোবাইল থেকে *২৪৭# এ ডায়াল করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করুন।
তারপর যে নাম্বার এ টাকা পাঠাবেন ওই জাইগায় পেইজার বিকাশ নাম্বার ০১৭৫৭৬৯৬১২৭ দিন
কতো টাকা পাঠাবেন তা দিন
রেফারেঞ্চ নাম্বার দিন
counter নাম্বার এ ১ দিন
তারপর আপনার ফোন এ একটি এসএমএস আসবে, এসএমএস এ একটি transaction id দেওয়া থাকবে তা আপনার পেইজা অ্যাকাউন্ট এ লগিন করে উপরের চিত্রে দেখানো জাইগায় দিন।
তারপর create transaction এ ক্লিক করুন।
ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এখন আপনার পেইজা wallet এ ক্লিক করে দেখুন আপনার পেইজা অ্যাকাউন্ট এ টাকা যোগ হয়ে গেছে।
যদি সাথে সাথে যোগ না হয় তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবার অ্যাকাউন্ট এ লগিন করুন দেখবেন ঠিক এ টাকা যোগ হয়ে গেছে।
কোন কিছু বুজতে সমস্যা হলে টিউমেন্ট করবেন।
0 comments:
Post a Comment